Views Bangladesh Logo

জাতীয় নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক কৌশলের ফাঁদে যেন না পড়ে

ন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সম্ভব স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা। সেই নির্বাচন যাতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্নাতীত গ্রহণযোগ্যতা পায় সেটাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। বিগত সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এ নিয়ে জনগণ বিগত সরকারের ওপর প্রচণ্ডরকম ক্ষুব্ধ ছিল। তাই তারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে ব্যাপক সমর্থন দিয়েছিল। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। তবে আমাদের একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, গত বছর ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক কৌশলে পড়ে গেছে। মিয়ানমারকে মানবিক করিডোর দেয়া হবে কি না, এসব বিষয়ও আমাদের ভাবতে হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে ইন্দো-প্যাসেফিক যে স্ট্র্যাটেজি আছে বাংলাদেশ তার মধ্যে ঢুকে পড়েছে। ফলে নির্বাচন নিয়ে নানা জটিলতা আছে। বর্তমানে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির মাথায়ও সেই বিষয়টি আছে বলেই মনে হয়।

এ মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি যদি সরকার গঠন করতে পারে, তাহলে তাদের টিকে থাকার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আশীর্বাদ প্রয়োজন হবে। তাই বিএনপিও আমেরিকার চাওয়া-পাওয়াকে উপেক্ষা করতে পারবে না। মূলত এ কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অথবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি কোনো শক্ত অবস্থান নিতে পারছে না। এখানেও ‘গিভ অ্যান্ড টেকর খেলা আছে কি না কে জানে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই বাংলাদেশ সরকারকে চাপে রাখতে চাইবে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের আমদানি পণ্যের ওপর ব্যাপক হারে শুল্কারোপ করেছে। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার নীতিমালার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই বাড়তি শুল্কারোপের উদ্যোগ সাংঘর্ষিক। কারণ বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার নীতি হচ্ছে পর্যায়ক্রমে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্কহার কমিয়ে এনে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার দ্বার উন্মোচন করা; কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর তার বিপরীতে গিয়ে অন্তত ১০০টি দেশ থেকে আমদানি পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্কারোপ করেছে।

প্রাথমিকভাবে বাড়তি শুল্কারোপের পর তিন মাস তা স্থগিত রাখা হয়। এই তিন মাসের মধ্যে বিভিন্ন দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার ভিত্তিতে তাদের রপ্তানি পণ্যের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত বর্ধিত শুল্কহার যৌক্তিকভাবে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে; কিন্তু বর্ধিত শুল্ক হ্রাসের ক্ষেত্রে সব দেশের প্রতি যৌক্তিক আচরণ করা হয়নি। যেমন ভিয়েতনামের রপ্তানি পণ্যের ওপর প্রাথমিকভাবে ৪৬ শতাংশ বর্ধিত শুল্কারোপ করা হয়েছিল। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ৩৭ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। ভিয়েতনামের বাড়তি শুল্কহার চূড়ান্ত পর্যায়ে ২৬ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে। ভারতের ওপর আরোপিত শুল্কহারও প্রাথমিক পর্যায়ে কমিয়ে ২৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও পরবর্তীতে দেশটির ওপর ২৫ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্কারোপ করেছে। ফলে ভারতের রপ্তানি পণ্যের ওপর এখন ৫০ শতাংশ শুল্ক প্রদান করতে হবে।

বাংলাদেশের বাড়তি রপ্তানি শুল্ক ৩৭ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ কমিয়ে ৩৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আরও আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর বর্ধিত শুল্কহার ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, আলোচনা চলমান আছে। আগামীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কহার ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি সত্যি সেটা করা সম্ভব হয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় নিশ্চিতভাবেই বাড়বে। আর একটি তথ্য বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য সুসংবাদ রয়ে এনেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে টি-শার্ট রপ্তানিতে বাংলাদেশ প্রতিযোগী দেশগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে।

পাল্টা শুল্কারোপের আগে গত বছর (২০২৪) জানুয়ারি-জুন ৬ মাসে বাংলাদেশ মোট ২৭ কোটি মার্কিন ডলারের টি-শার্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি করেছিল। এ বছর (২০২৫) জানুয়ারি-জুন ৬ মাসে অর্থাৎ বর্ধিত শুল্কারোপ-সংক্রান্ত জটিলতাকলে বাংলাদেশ ৩৭ কোটি ৩২ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের টি-শার্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি করেছে। এ বছর প্রথম ৬ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের ১১৭টি দেশ থেকে মোট ৩৫২ কোটি মার্কিন ডলারের টি-শার্ট আমদানি করে। এর মধ্যে একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি মূল্যের টি-শার্ট আমদানি করে। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে আর কখনোই বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টি-শার্ট রপ্তানিতে শীর্ষে আরোহণ করতে পারেনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বিভিন্ন দেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্কারোপ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। দেশটি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম-নীতিকে তুড়ি মেরে ফেলে দিয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী যে বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভেঙ্গে দিয়েছে। বাংলাদেশের ওপর প্রাথমিক পর্যায়ে যে উচ্চ হারে শুল্কারোপ করা হয়েছিল তা না কমালে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অসম প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতো। তবে সেই আশঙ্কা আপাতত কেটে গেলে বলেই মনে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশকে তৈরি পোশাক খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কাঁচামাল ব্যবহারের প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে থাকে। অর্থনৈতিক অবরোধ ও শুল্ক নীতি তার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে কোটা সুবিধা প্রদান করতো। ২০০৫ সালে বিশ্বব্যাপী মুক্ত বাজার অর্থনীতি চালু হবার পর কোটা সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়।

তারপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সীমিত পরিসরে শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানি সুবিধা জিএসপি প্রদান করে; কিন্তু পরবর্তীতে শ্রম অধিকার লঙ্ঘনসহ নানা অভিযোগ তুলে বাংলাদেশকে দেয়া জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দিয়ে আসছে। আগামী বছর (২০২৬) বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত তালিকায় উত্তীর্ণ হবার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরও তিন বছর অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত জিএসপি সুবিধা প্রদান করবে। তারপর জিএসপি সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক শিল্পে বিস্ময়কর অবস্থানের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া কোটা সুবিধা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি সুবিধা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেয়া জিএসপি সুবিধা বন্ধ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক আরোপিত হলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক সামগ্রী রপ্তানি মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে বাধ্য।

বাংলাদেশকে চাপে রাখার একটি কৌশল হতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই বাড়তি শুল্কারোপ। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ভিয়েতনাম তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে; কিন্তু বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের অবস্থান এতটাই কাছাকাছি যে সামান্য সুযোগ পেলেই ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে টপকে যাবে। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের হিস্যা ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর ভিয়েতনামের হিস্যা হচ্ছে ৬ দশমিক ০৯ শতাংশ। কাজেই মার্কিন শুল্ক নীতির সুযোগ গ্রহণ করে ভিয়েতমান অচিরেই আন্তর্জাতিক বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে টপকে যাবে এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যেতে পারে।

বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য তালিকায় তৈরি পোশাকের অংশ ৮৪ শতাশের মতো। কাজেই তৈরি পোশাক রপ্তানি বিঘ্নিত হলে পুরো রপ্তানি বাণিজ্যই মুখ থুবড়ে পড়বে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল আলোচনা চালিয়েছে কিন্তু শুল্ক কমানোর ব্যাপারে তেমন কোনো সমঝোতা হয়নি। আগামীতে আরো আলোচনা হতে পারে। তবে তাতে কতটুকু সুফল অর্জিত হলে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির সঙ্গে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক স্বার্থ যুক্ত রয়েছে।

আমার প্রশ্ন হলো, এই পারস্পরিক স্বার্থটা কি? শুল্ক নীতি দুটি দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে সম্পৃক্ত; কিন্তু এই অর্থনৈতিক স্বার্থ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক নির্ভরতা দেশটি তা রাজনৈতিক ম্বার্থে ব্যবহার করতে পারে। সেই অবস্থায় বাংলাদেশ চাইলেও মার্কিন প্রভাব বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রভাব বলয় আমাদের নির্বাচন এবং কড়িডোর দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে। তারা বলতে পারে, তোমরা যদি আমাদের চাহিদা মতো মিয়ানমারকে মানবিক কড়িডোর দাও তাহলে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি কড়িডোর না দাও তাহলে নির্বাচন হবে না।

এদিক থেকে বিবেচনা করলে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা আছে বলেই আমার মনে হয়। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর আরোপিত উচ্চ হারে বাড়তি শুল্ক রেখে দিয়েছে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই খেলার সঙ্গে নবগঠিত রাজনৈতিক দল এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তারাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা তা নিয়ে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। নব গঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি বলছে, আগে সংস্কার করতে হবে তারপর জাতীয় নির্বাচন। সংস্কার ব্যতীত কোনো নির্বাচন তারা অনুষ্ঠিত হতে দেবে না। প্রশ্ন হচ্ছে, পুরো সংস্কার কার্যক্রম এক বা দুই মাসে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এ জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে। আমরা কি সংস্কারের জন্য আজীবন অপেক্ষা করব? নাকি নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনে সহায়তা করব। নির্বাচিত সরকারও তো সংস্কার করতে পারবে।

আর কিছু সংস্কার কার্যক্রম আছে, যা সম্পন্ন করার জন্য পার্লামেন্ট দরকার, নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নসহ দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে হলে অতি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচন বিলম্বিত হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো অবনতি ঘটতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলো বর্তমান অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দায়ভার গ্রহণ করবে না। কারণ তারা কোনো ক্ষমতায় নেই। অন্তর্বর্তীকালিন সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে খুব একটা সফল হবে বলে মনে হয় না। তাই দ্রুত নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।

মোহাম্মদ শাহ আলম: রাজনীতিবিদ ও সভাপতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি।
অনুলিখন: এম এ খালেক।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ