নিখোঁজের এক মাস পর শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নে শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজের এক মাস পর আবদুল করিম ভূঁইয়ার (৫২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
করিম ভূঁইয়া দেবিদ্বার উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মন্ত্রীবাড়ি এলাকার মৃত আবুল কাশেম ভূঁইয়ার ছেলে। গত ১৩ আগস্ট বাড়ি থেকে বের হয়ে খরমপুর মাজারে যাওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তিন দিন পর ১৬ আগস্ট তার বড় ভাই আমির হোসেন ভূঁইয়া দেবিদ্বার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার রাতে করিমের বড় ভাইয়ের মোবাইলে একটি অজ্ঞাত ফোন আসে। ফোন দেয়া ব্যক্তি জানান, করিমকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ লুকিয়ে রেখেছে। খবর পেয়ে পুলিশসহ আমির হোসেন সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালালে ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দেবিদ্বার থানার ওসি শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস ও সহকারী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধার কাজ তদারকি করেন। এ সময় করিমের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার, দুই শ্যালক—মোজাম্মেল ও ইসরাফিল এবং দুই ছেলে তানভীর ও তৌহিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
ভাইয়ের হত্যার বিচার দাবি করে আমির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি দোষীদের ফাঁসি চাই।’
পুলিশ জানায়, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে