‘যুদ্ধবিরতি’র পরেও ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বানে ইসরায়েলের সাথে দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার মাত্র একঘন্টা পর আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। তাৎক্ষণিকভাবে একজন আহত ছাড়া অন্য কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ শনাক্তের পর সেটিকে সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে হাইফা ও উত্তর ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বেজে ওঠে। তিন ঘন্টা আগে স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

ইসরায়েলের জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএম) জানায়, ‘গত কয়েক মিনিটে শোনা সাইরেনগুলির পরে: এখন পর্যন্ত, আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে আহত একজন ব্যক্তি ছাড়া কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি’।

হামলার প্রতিক্রিয়ায় সতর্কতা জারি করে ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেন, যদি আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়, তাহলে ‘তেহরান কাঁপবে’। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ঘোষণা করেছেন, তিনি ইরানের রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে ‘ভারী হামলা চালানোর’ নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে ইসরায়েল সরকার ঘোষণা করে, সর্বশেষ সামরিক অভিযান ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ এর সব কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনের পর ইরানের সাথে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দেশটি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রকাশ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি নিশ্চিতের পর পরই এই বিবৃতি আসে।

যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘন্টা আগে অবশ্য ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বিয়েরশেবা শহরে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে সরাসরি আঘাত হানলে চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ২২ জন আহত হন। আর উত্তর ইরানের আস্তানেহ-ইয়ে আশরাফিয়া শহরে ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় কমপক্ষে নয়জন নিহত, ৩৩ জন আহত এবং চারটি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে, যার পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটি।