ফ্লাইট এক্সপার্ট বন্ধের পেছনে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি
অন্যতম অনলাইন টিকিটিং প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’এর হঠাৎ করে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার পেছনে রয়েছে একটি বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি। গতকাল শনিবার প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ করার পূর্ব মুহুর্তে কর্মকর্তাদের একটি গ্রুপে ফ্লাইট এক্সপার্টের সিইও সালমান বিন রাশেদ শাহ সাইয়েমের দেওয়া বক্তব্য থেকে এ কেলেঙ্কারির কথা জানা গেছে। রাশেদ শাহ সাইয়েমেরে এই বক্তব্য বিশেষ সূত্রে ভিউজ বাংলাদেশ জানতে পেরেছে। ওই বার্তায় ফ্লাইট এক্সপার্টের সিইও কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য তিন জন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেন। ওই তিন কর্মকর্তাকে এরই মধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
বার্তায় সাইয়েম লিখেছেন, 'প্রিয় ফ্লাইট এক্সপার্ট টিম, আপনাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় শেয়ার করা দরকার। একটি বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনা ঘটেছে - সাঈদ, হোসেন এবং সাকিব এর পিছনে আছে। তারা এসব করেছে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এবং গত বৃহস্পতিবারের বৈঠকে, তারা আমার উপর সমস্ত দোষ চাপিয়ে দেয়। এটি পরিকল্পিত ছিল এবং আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আজ সকালে তারা ৩ কোটি টাকা তুলে নিয়ে নিজেদের কাছে রেখেছিল। অতএব কোম্পানির কার্যক্রম এখন বন্ধ হয়ে গেছে। আমার উপর হুমকি এবং দোষারোপের কারণে, আমি নিরাপদ দূরত্বে চলে যাচ্ছি। আমার উদ্দেশ্য কখনও এভাবে চলে যাওয়া ছিল না, আমি সত্যিই দুঃখিত যে আমাকে যেতে হচ্ছে।”
মতিঝিল থানায় করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে রবিবার অভিযুক্ত এই তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন--এজেন্সির হেড অব ফাইন্যান্স সাকিব হোসেন (৩২), চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাঈদ আহমেদ (৪০) এবং চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন (৩২)। শনিবার গভীর রাতে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী গ্রাহক বিকাশ সরকার। মামলায় মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে—গ্রেপ্তার তিনজন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির সিইও সালমান বিন রাশিদ শাহ সাইয়িম এবং তার বাবা এম এ রাশিদ।
সহকারী কমিশনার ফারাবি জানান, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এর আগে গ্রেপ্তার সাঈদ আহমেদ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, সিইও সালমান দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
জিডিতে তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক অনিশ্চয়তা নিয়ে গ্রাহক ও সাপ্লায়ারদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং কিছু ক্ষুব্ধ গ্রাহকের কাছ থেকে কর্মীরা হুমকিও পাচ্ছেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে