দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছেন বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী লি জে-মিয়ং। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পিপল পাওয়ার পার্টির কিম মুন-সু পরাজয় স্বীকার করে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ইউরো নিউজ

বিজয়ের পর দেয়া ভাষণে লি জে-মিয়ং বলেন, ‘আমার সরকার অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ও উপদ্বীপে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে।’ অন্যদিকে, পরাজিত কিম মুন-সু বলেন, ‘আমি জনগণের রায়কে সম্মান জানাই এবং লি-কে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

এই নির্বাচনকে অনেকেই এক ধরনের গণভোট হিসেবে দেখছেন, যা সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সক ইয়ল-এর সামরিক শাসনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে জনগণের জবাব। প্রায় ছয় মাস আগে ইউন একটি অভ্যুত্থান ঘটাতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভোটের মাধ্যমে জনগণ ইউন-এর দলকে প্রত্যাখ্যান করে বিরোধী দলকে ক্ষমতায় আনে।

লি জে-মিয়ং-এর রাজনৈতিক জীবন নানা বিতর্কে ঘেরা। তিন বছর আগে তিনি নির্বাচনে হেরেছিলেন এবং এখনো তার বিরুদ্ধে কয়েকটি ফৌজদারি মামলা চলমান। তবুও, এবারের নির্বাচনী প্রচারে তিনি নানা মত ও শ্রেণির মানুষকে একত্রিত করতে পেরেছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, দেশের চলমান সংকট মোকাবেলায় লি-ই এখন সবচেয়ে উপযুক্ত নেতা। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার জন্য রয়েছে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোরিয়ার বাণিজ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন হবে।

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির কারণে দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। তবে শোনা যাচ্ছে, ওয়াশিংটন কিছু সেনা প্রত্যাহারের চিন্তা করছে। লি অতীতে যুক্তরাষ্ট্র-কোরিয়া জোট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেও নির্বাচনের সময় তিনি কিছুটা নমনীয় অবস্থান নিয়েছেন। তবে তিনি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের পক্ষে রয়েছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে জটিল করে তুলতে পারে।