Views Bangladesh Logo

লতিফ সিদ্দিকীর জামিনের আবেদন প্রত্যাহার

ন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন প্রত্যাহার করা হয়।

লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী তাহমীম মহিমা বাঁধন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার বাকি ছয়জনের জামিন আবেদনও নাকচ করেছেন আদালত।

আইনজীবী তাহমীম মহিমা বাঁধন বলেন, লতিফ সিদ্দিকী প্রথমে ওকালতনামায় সই করতে চাননি। পরে জেড আই খান পান্নার ওকালতনামা দেখে তিনি সই করেন। আজ আমরা লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে জামিন আবেদন করি। তিনি একজন বয়স্ক, অসুস্থ মানুষ। তার পরিবারের পক্ষ থেকে মেডিকেল রিপোর্ট দেখিয়ে জামিনের জন্য শুনানি হওয়ার কথা ছিল। পরিবার সঠিক সময়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাগজপত্র সরবরাহ করতে পারেনি। এজন্য আবেদন প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন—গোলাম মোস্তফা, জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খাঁন, আমির হোসেন সুমন, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার এবং আব্দুল্লাহীল কাইউম।

রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন বলেন, শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় গত শুক্রবার লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং কারাগারে পাঠানো হয়। তারা রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তারা ‘ফ্যাসিস্ট’ হাসিনাকে ফেরানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। লতিফ সিদ্দিকী ‘মঞ্চ ৭১’ ব্যানারকে ব্যবহার করে প্রকৃতপক্ষে দেশকে অস্থিতিশীল করতে এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করেছেন। তারা দেশের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, গত শুক্রবার লতিফ সিদ্দিকী আদালতে উপস্থিত হয়ে জানান, আদালতের প্রতি তার আস্থা নেই। আজ তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেছিলেন। তবে আসামিপক্ষ বুঝতে পেরেছে, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই জামিনের কঠোর বিরোধিতা হবে। এজন্য তার পক্ষের আইনজীবীরা আবেদন প্রত্যাহার করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘মঞ্চ ৭১’ ব্যানারে একটি অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর মধ্যেই এক দল ব্যক্তি হট্টগোল সৃষ্টি করে, স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে ঢুকে পড়েন। একপর্যায়ে তারা দরজা বন্ধ করে অনুষ্ঠানস্থলে থাকা লতিফ সিদ্দিকীসহ কয়েকজনকে লাঞ্ছিত করেন। হট্টগোলকারীরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং অংশগ্রহণকারীদের অবরুদ্ধ করেন। পরে পুলিশ ১৬ জনকে আটক করে।

এ ঘটনায় শুক্রবার শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন এসআই আমিরুল ইসলাম। পরবর্তীতে এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না, কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, দেওয়ান মোহম্মদ আলী এবং মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ