জাকসু নির্বাচনে ব্যালট সরবরাহ করেছে জামায়াত সংশ্লিষ্ট কোম্পানি, দাবি শেখ সাদীর
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে ভোটের জন্য ব্যবহৃত ব্যালট পেপার যে কোম্পানি সরবরাহ করেছে তার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী জড়িত।
তিনি দাবি করেন, ছাত্রশিবির ভোটে প্রভাব বিস্তার করে জয় নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মাওলানা ভাসানী হলে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শেখ সাদী হাসান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশায় প্রচারণা চালিয়েছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পর যখন আমাদের প্যানেলের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। ঠিক তখনই ভোটগ্রহণের আগের রাতে জানতে পারি যে, নির্বাচন কমিশন ব্যালট পেপার ও ওএমআর ভোট গণনা মেশিন সরবরাহ করেছে জামায়াতে ইসলামীর একটি অখ্যাত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে, যেখানে যথাযথ ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।’
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের প্যানেলকে জিতিয়ে দিতে এই কারচুপি করা হয়েছে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে ওএমআর মেশিনে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে কমিশন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে গণনার ঘোষণা দিলেও, এখনো সেই একই প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত ব্যালট পেপারেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’
শেখ সাদী দাবি করেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে নতুন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের দাবি জানালেও তারা তা মানেনি। পক্ষপাতমূলক আচরণ করে জামায়াত সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ব্যালটেই নির্বাচন চালিয়ে যাচ্ছে, যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।’
তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসের আশপাশে জড়ো হয়েছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে অনুৎসাহিত হতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল প্যানেলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয় এবং যে কোনো প্রকার অপতৎপরতা থেকে বিরত থাকার জন্য হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
জাকসুর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে মোট ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫ পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। বামপন্থি, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে সর্বমোট আটটি প্যানেল হয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে