Views Bangladesh Logo

নদী থেকে সাংবাদিকের লাশ উদ্ধার: কী বার্তা দেয়

র পর দুজন সাংবাদিকের লাশ উদ্ধার করা হলো নদী থেকে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের বর্ষীয়ান সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদী থেকে। রোববার খুলনার রূপসা নদী থেকে উদ্ধার করা হলো সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলুর লাশ। দুটি মৃত্যুই রহস্যময়।

গতকাল (১ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, খুলনার খানজাহান আলী সেতুর (রূপসা সেতু) নিচ থেকে রোববার রাতে সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই সাংবাদিকের ডান হাত ও মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন ছিল। বুলু (৬০) দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। তিনি খুলনা প্রেস ক্লাব ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) সদস্য ছিলেন। রূপসা নৌ পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে তার পরিচয় জানা যায়। র্যাব-৬ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মারুফ লাশের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। কেউ কেউ ঘটনার পর দাবি করছিলেন, বুলু সেতুর ওপর থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন। তবে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সেতুর ওপর থেকে ঝাঁপ দেয়ার বিষয়টি রহস্যজনক।

এখন যদি আত্মহত্যাও হয়, একজন সাংবাদিক বা একজন মানুষ কেন আত্মহত্যা করে সেই কারণটিও খতিয়ে দেখা জরুরি। ব্যক্তিগত হতাশায় অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। ব্যক্তিগত হতাশার পেছনেও কাজ করে সামাজিক-রাষ্ট্রিক-আর্থিক অনিরাপত্তা-অনিশ্চয়তা। আর একজন সাংবাদিকের আত্মহত্যা, বিশেষ করে একজন বর্ষীয়ান সাংবাদিকের আত্মহত্যা নানাভাবেই রাষ্ট্রীয়ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তার সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের পেশাটিরও অনিশ্চয়তাকে তুলে ধরে।

দুটি ঘটনাই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক-রাষ্ট্রিক নিরাপত্তার জন্য অশনিসংকেত। বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে না দেখে ঘটনা দুটি ভালো করে তদন্ত করে দেখা দরকার। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ ঘটনার প্রতি দ্রুত এবং নিরপেক্ষ মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানানো উচিত। একই সঙ্গে আমাদের সরকারকে ভাবতে হবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের একান্ত কর্তব্য।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ