নির্বাচনে হারের পরও পদত্যাগ করছেন না জাপানের প্রধানমন্ত্রী
জাপানের উচ্চকক্ষ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন জোট। তবে পদত্যাগের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা।
সোমবার (২১ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, রোববার অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ২৪৮ আসনের উচ্চকক্ষে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) ও তাদের জোটসঙ্গী কোমেইতো পার্টির প্রয়োজন ছিল অন্তত ৫০টি আসন। তবে তারা পেয়েছে মাত্র ৪৭টি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, চালের দাম বৃদ্ধি এবং একাধিক রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির কারণে জনগণের অসন্তোষ বেড়েছে। এসব কারণেই এলডিপি ও কোমেইতো পার্টি চাপের মুখে পড়েছে।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ইশিবা বলেন, 'আমি জনগণের রায়কে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করছি। তবে এখন আমার অগ্রাধিকার বাণিজ্য আলোচনা এগিয়ে নেওয়া।'
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জেফরি হল জানান, এবারের নির্বাচনে ডানপন্থী ছোট দলগুলো এলডিপির রক্ষণশীল ভোটব্যাংক থেকে বড় অংশ কেটে নিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত দল হলো ‘সানসেইতো পার্টি’। দলটি অভিবাসনবিরোধী, ষড়যন্ত্র তত্ত্বনির্ভর প্রচারণা এবং ‘জাপান ফার্স্ট’ আদর্শ নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে ডানপন্থী ভোটারদের আকৃষ্ট করেছে।
করোনাভাইরাস মহামারির সময় ইউটিউব-ভিত্তিক প্রচারণার মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া এই দলটি সম্প্রতি তরুণ ভোটারদের মধ্যেও প্রভাব ফেলেছে।
এদিকে জাপানে বিদেশি নাগরিক ও পর্যটকের সংখ্যা বাড়ায় অনেক স্থানীয় নাগরিক অভিযোগ করছেন, বিদেশিরা দেশটির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। এ বিষয়ে সরকার একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে, যার উদ্দেশ্য বিদেশিদের অপরাধ ও বিরক্তিকর আচরণ মোকাবিলা করা।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে