Views Bangladesh Logo

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ইসরায়েলের সম্মতি, কাতারে যাচ্ছে প্রতিনিধিদল

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। হামাসের পক্ষ থেকে ‘অবিলম্বে’ আলোচনা শুরুর আগ্রহ প্রকাশের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি প্রতিনিধিদলকে কাতারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। দলটি রোববার কাতারে পৌঁছে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় বিষয়ে আলোচনা করবে।

তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস যুদ্ধবিরতির যে সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছে, তা ইসরায়েলের কাছে ‘অগ্রহণযোগ্য’। ইসরায়েল বলছে, তারা আলোচনায় অংশ নেবে এবং কাতারি প্রস্তাবের ভিত্তিতে জিম্মি বিনিময়-সংক্রান্ত আলোচনাও চালিয়ে যাবে।

এর মধ্যেই শনিবার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী।

হামাস জানিয়েছে, তারা আলোচনায় ‘অবিলম্বে ও আন্তরিকভাবে’ অংশ নিতে প্রস্তুত এবং প্রস্তাবের জবাব পাঠানো হচ্ছে। আলোচনা সংশ্লিষ্ট ফিলিস্তিনি সূত্র বলছে, প্রস্তাব অনুযায়ী ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির আওতায় হামাস ১০ জন জীবিত জিম্মি ও কয়েকটি মৃতদেহ ফেরত দেবে। বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি চাইছে তারা।

তবে হামাসের আরও কিছু শর্ত রয়েছে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, আলোচনার সময় পুনরায় হামলা না চালানোর নিশ্চয়তা এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের দাবি।

এদিকে, মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আগেও দুই দফা সাময়িক যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। বর্তমানে গাজায় এখনো ৪৯ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল, যাদের মধ্যে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির শীর্ষ কূটনীতিক যুক্তরাষ্ট্রের আলোচক স্টিভ উইটকফের সঙ্গে সাম্প্রতিক অগ্রগতি ও পরোক্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেছেন।

গাজার মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, মানুষ খাদ্যের অভাবে মারা যাচ্ছে। হামাস ইতিবাচক সাড়া দেয়ায় অনেকে যুদ্ধবিরতির আশায় দিন গুনছেন।

ইসরায়েলি তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হয় যার অধিকাংশই সাধারণ মানুষ। আর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৭ হাজার ৩৮৮ জন। জাতিসংঘ এই হিসাবকে বিশ্বাসযোগ্য বলছে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ