ইসরায়েলি হামলায় ইরানে সেনা কমান্ডার নিহত দাবি, পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরান থেকে ছোড়ার জন্য প্রস্তুত থাকা তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র প্ল্যাটফর্মে হামলা চালিয়েছে এবং হামলার সময় এক সেনা কমান্ডারকে হত্যা করেছে। তবে ওই কমান্ডারের পরিচয় জানানো হয়নি। আল জাজিরার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
এই ঘটনার মধ্যেই শুক্রবার ইরান জানায়, ইসরায়েলি হামলার মধ্যে তারা তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো আলোচনা করবে না। ইউরোপীয় দেশগুলো চেষ্টা চালাচ্ছে ইরানকে আবারও আলোচনার টেবিলে আনতে। যুক্তরাষ্ট্র এতে যুক্ত হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত আসতে পারে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে।
গত শুক্রবার থেকে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে হামলা শুরু করেছে। পাল্টা জবাবে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলে। যদিও ইরান বলছে, তাদের কর্মসূচি একেবারেই শান্তিপূর্ণ।
মানবাধিকার সংস্থা HRANA জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত ৬৩৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে আছেন সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী। অপরদিকে, ইসরায়েলের দাবি, ইরানি হামলায় তাদের অন্তত দুই ডজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। তবে এই তথ্যগুলো রয়টার্স স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলো ছাড়াও বেশ কয়েকটি বেসামরিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, সরকার পতনের লক্ষ্য নয়, তবে ইরানিদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা স্বাধীনতার জন্য উঠবে কি না।
ইসরায়েল আরও অভিযোগ করেছে, ইরান বেসামরিকদের লক্ষ্য করে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করছে, যা বিস্তৃত এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে জাতিসংঘে ইরানের মিশন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় পাঁচটি হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উত্তেজনার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুক্রবার জেনেভায় বৈঠকে বসছেন ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধানরা। তারা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে