Views Bangladesh Logo

রং বদলানোই কি জামায়াতের শক্তি?

Amin Al  Rasheed

আমীন আল রশীদ

ওয়ামী লীগ ও বিএনপির পর দেশে তৃতীয় কোনো শক্তি গড়ে উঠেনি। জাতীয় পার্টি মূলত আওয়ামী লীগের বি টিম হিসেবেই কাজ করেছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর জনপরিসরে এরকম আওয়াজ আছে যে, জামায়াত হয়তো এবার সরকার গঠন করবে। বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে হয়তো তারই ইঙ্গিত।

বলা হচ্ছে, জামায়াতের রাজনীতি ফুলেফেঁপে উঠেছে যে বিএনপির কোলে চড়ে, সেই বিএনপিকে বাদ দিয়ে জামায়াত এখন এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। চব্বিশের অভ্যুত্থান সেই সম্ভাবনা অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।

জামায়াতের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা বা তারা ক্ষমতায় এলে কী হবে- এসব নিয়ে আলোচনা ও বিতর্কের মধ্যেই গত ১৮ অক্টোবর ফেসবুকে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ লিখেছেন: ‘একটা কথা বাজারে বেশ চালু করা হয়েছে- আমরা তো আগে আওয়ামী লীগ দেখছি বিএনপিও দেখছি। এবার জামাতকে দেখি। এই কথায় তথ্যগত ভুল আছে।’

আনু মুহাম্মদ লিখেছেন: ‘আমরা জামায়াতকে দেখি নাই কথাটা ঠিক না। একটু খেয়াল করলেই মনে পড়বে, আসলে ভালোভাবেই দেখেছি তাদের। ১৯৭১ সাল তার সবচাইতে বড় দৃষ্টান্ত। পাকিস্তান সামরিক বাহিনী এই দেশে যখন ভয়ংকর নৃশংস গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চালাচ্ছে তখন তার প্রধান সহযোগী হিসেবে জামায়াত ও তার সব সংগঠনই ক্ষমতা উপভোগ করেছে।’

এই অধ্যাপক ও অ্যাক্টিভিস্ট লিখেছেন: ‘৮০র দশকে প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় জামায়াতের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্ত হয়। সে সময় হল দখল, সন্ত্রাসের বহু ঘটনায়ও তাদের ভূমিকা আছে। ২০০১ সালে আবার বিএনপির সঙ্গে জামায়াত ক্ষমতায় যায়, দুটো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় তখন ছিল তাদের হাতে। তাদের ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় র‌্যাব গঠন হয়, আদমজী পাটকল বন্ধ করে দেয়া হয়, বাংলা ভাইসহ সন্ত্রাসের বিস্তার ঘটে, বিচারবহির্ভূত রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড ব্যাপকভাবে শুরু হয় এই সময়...।’

প্রশ্ন হলো, যে দলটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে, অর্থাৎ নিজ দেশের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছে সেই দলটি কী করে দেশ স্বাধীন হওয়ার অর্ধ শতাব্দী পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় চলে যাওয়ার মতো অবস্থানে চলে আসে? কী করে এই দলটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করল? এখানে মূলধারার বা অতীতে ক্ষমতায় ছিল এমন দলগুলোর ভূমিকা কী?

একটু পেছনে ফেরা যাক। মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতার কারণে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে জামায়াত নিষিদ্ধ হয়; কিন্তু পঁচাত্তরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ১৯৭৬ সালে সামরিক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সংবিধানে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সুযোগ করে দেয়া হলে জামায়াত পুনরায় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়। জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথ উন্মুক্ত করলে তার পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করে জামায়াত এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে থাকে।

বন্দুকের নলের মুখে ক্ষমতা গ্রহণের পর হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮৬ সালে নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে যে নির্বাচনের আয়োজন করেন বিএনপি সেটি বর্জন করলেও আওয়ামী লীগ তার সমমনাদের নিয়ে এই নির্বাচনে অংশ নেয়। জামায়াতও ওই জোটের সঙ্গী হয়।

১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা করে জামায়াত সংসদে ১৮টি আসন পায়; কিন্তু বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের এই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি বরং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনে যোগ দেয় জামায়াত।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও দুই বছর না যেতেই শুরু হয় সরকার পতনের আন্দোলন। এবার বিএনপি-জামায়াত একসঙ্গে।

২০০১ সালের নির্বাচনে এই জামায়াত আবারও বিএনপির সঙ্গে জোট করে এবং প্রথমবারের মতো সরকারেরও অংশ হয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি-জামায়াতের এই সম্পর্ক বা জোট টিকে থাকে বহু বছর। যদিও ধীরে ধীরে এই দুটি দলের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। অনেক ইস্যুতেই বিএনপি ও জামায়াতের অনৈক্য স্পষ্ট হয়। গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের পর জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে।

বলা হয়, জামায়াতকে শক্তিশালী করেছে মূলত দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। জামায়াত বারবার নিজেদের রং পাল্টে পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। ২০০১ সালের আগে তারা মন্ত্রিসভায় স্থান না পেলেও তারা নানাভাবে ক্ষমতাকাঠামোর ভেতরেই ছিল এবং বহুমাত্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে তুলে দলকে আর্থিকভাবে সুসংহত করেছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নে জামায়াতকে যদি দেশের বড় দুটি দল ছাড় না দিত বা জামায়াতকে নিয়ে ভোটের রাজনীতি না করত তাহলে দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৪ বছর পর এই দলটির রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার আলোচনাটি উঠত না এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবিরের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার সম্ভব হত না।

রং বদলানোর শক্তি!
তবে জামায়াতের শক্তিশালী হওয়া, বিশেষ করে তাদের ক্ষমতায় চলে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে চলমান আলোচনার মধ্যে তাদের ‘ডিগবাজি’ বা রং বদলানোর বিষয়টিও এখন সামনে আসছে।

যে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিকে বলা হতো জামায়াতের ‘বি টিম’- সেই এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামই জামায়াতের প্রতারণা নিয়ে মুখ খুলেছেন। গত ১৯ অক্টোবর নিজের ফেসবুক ওয়ালে নাহিদ লিখেছেন: জামায়াতে ইসলামীর তথাকথিত পিআর আন্দোলন একটি রাজনৈতিক প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এটা ইচ্ছাকৃতভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার প্রক্রিয়া বাতিল করতে এবং জাতীয় সংলাপকে বাস্তবতা দূরে সরিয়ে দিতে। নাহিদ লিখেছেন: বাংলাদেশের মানুষ এখন স্পষ্টতই জামায়াতের প্রতারণা বুঝতে পারছে। তারা মিথ্যা সংস্কারবাদী বা কারচুপি করা অভিনেতাদের দ্বারা আর প্রতারিত হবে না।

তবে নাহিদের এই স্ট্যাটাসকে অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে জামায়াত। তারা বলছে, জামায়াতে ইসলামীর পিআর দাবির আন্দোলনকে প্রতারণামূলক ও রাজনৈতিক কৌশল বলে নাহিদ যে মন্তব্য করেছেন তা সর্বৈব মিথ্যা ও দুঃখজনক। তিনি তার বক্তব্যের মাধ্যমে কী বোঝাতে চাচ্ছেন তা জামায়াতের কাছে বোধগম্য নয় বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

প্রশ্ন হলো, যে জুলাই অভ্যুত্থানের সামনের সারিতে থাকা অনেকেই ছিলেন জামায়াত ও তাদের ছাত্র সংগঠন শিবিরের নেতাকর্মী এবং যে এনসিপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হতো তাদের মধ্যে এই দূরত্বের কারণ কী?

গণমাধ্যমকে এনসিপির একজন নেতা বলেছেন, দলীয় প্রতীক হিসেবে তারা শাপলা চাচ্ছেন। এতদিন জেনে এসেছেন, বিএনপি এ ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে; কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছেন, এনসিপি যাতে শাপলা প্রতীক না পায়, সে ক্ষেত্রে জামায়াতও বাধা সৃষ্টি করছে। জামায়াতের কড়া সমালোচনা করে নাহিদ ইসলামের ফেসবুক পোস্টের পেছনে এটিও কাজ করে থাকতে পারে। এর পাশাপাশি এনসিপি এখন হয়তো তাদের বিরুদ্ধে জামায়াত ঘনিষ্ঠতার তকমা ঘুচিয়ে স্বতন্ত্র রাজনৈতিক চরিত্র নির্মাণের চেষ্টা করছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে দোটানা
বহুল প্রতীক্ষিত জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করে ১৭ অক্টোবর। অন্যান্য দলের সঙ্গে জামায়াতও এই দলিলে স্বাক্ষর করে। যদিও এর আগে জামায়াত জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে কি না তা নিয়ে নানারকম ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়।

গত ৩১ জুলাই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে দলের নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, আইনি ভিত্তি না দিলে জামায়াত জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না। কারণ নির্বাচিত সরকার এসে এটি আইনে রূপ দেবে তার নিশ্চয়তা নেই। তাই যা করার এখনই করতে হবে।

এরপর জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগের দিন ১৬ অক্টোবর দলের সেক্রেটারি জেনারেল জানান, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিধান অর্থাৎ পিআর যুক্ত না করলে জুলাই সনদে জামায়াত স্বাক্ষর করবে না।

এমনকি ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষরের দিনও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি হামিদুর রহমান আযাদ সাংবাদিকদের বলেন, তারা সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নিলেও জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবেন কি না সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন হবে সেই ড্রাফটটি তারা পাননি।

অথচ দেখা গেল, নানারকম শর্ত দিলেও শেষ পর্যন্ত জামায়াত জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে; কিন্তু এ বিষয়ে এনসিপির সমালোচনার মুখে দলটির নেতারা বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা স্পষ্ট না হলে তারা জুলাই সনদ থেকে স্বাক্ষর প্রত্যাহার করতে পারেন।

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও ১৯ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও এর ভিত্তিতে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দাবিতে তাদের আন্দোলন চলবে।

প্রশ্ন হলো, জামায়াত কি এই দাবিতে শেষ পর্যন্ত অনড় থাকবে নাকি গণভোট না হলেও ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে? সেই নির্বাচনে জামায়াত কি এককভাবে অংশ নেবে নাকি ইসলামিক দলগুলোর সঙ্গে জোট করবে? নাকি অতীতের মতো আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার পথ মসৃণ করতে বিএনপির সঙ্গে জোট করবে?

আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা?
আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছরের শাসনামলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। শুধু তাই নয়, অভ্যুত্থানের মুখে যে আওয়ামী লীগের পতন হলো, সেখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জামায়াতের ভূমিকা অনেক বেশি বলে মনে করা হয়; কিন্তু সেই জামায়াতের আমির অভ্যুত্থানের পর বলেছেন, গত ১৬ বছরে জামায়াতের ওপর আওয়ামী লীগ সরকার যে নির্যাতন করেছে, জামায়াত তা ক্ষমা করে দিয়েছে।

গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বিজয় সরণিতে একটি অনুষ্ঠানে জামায়াতের আমির বলেন, কারও প্রতি কোনো প্রতিশোধ নেয়া হবে না। যদি ভিকটিম হিসেবে কেউ বিচার প্রত্যাশী হয় তবে তাকে স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিতে সহায়তা করা হবে।

অবশ্য এর মাস খানেক পরই গত বছরের ১৩ অক্টোবর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জামায়াতের রুকন সম্মেলনে দলের আমির বলেন, পতিত আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনে যেসব কালাকানুন ও আইন তৈরি করা হয়েছিল সেই আইন দিয়েই তাদের বিচার করতে হবে। তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচারের বিষয়ে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগের সঠিক পাওনা বুঝে দিতে হবে।

গত ১০ মে যেদিন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করল সরকার, সেদিন জামায়াতের আমির বলেন, তারা ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার বিচার চান। আওয়ামী লীগের বিচার চান। সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিচার ত্বরান্বিত করে জাতিকে সম্মানিতে করুন।

এই অভিযোগও আছে যে, জামায়াত মূলত আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোট পেতে চায়। কেননা আগামী নির্বাচনে যে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না সেটি মোটামুটি নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ভোটাররা কী করবেন? তারা কি ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকবেন নাকি অন্য কোনো দলকে ভোট দেবেন? যদি জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে তাহলে আওয়ামী লীগের ভোট কার বাক্সে যাবে? জামায়াত হয়তো এই শূন্যতার সুযোগ নিতে চায় এবং সে কারণে স্থানীয় পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার অভয় দিয়ে তাদের বাগে আনার চেষ্টা করছে। অর্থাৎ, একদিকে আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেয়ার ঘোষণা অন্যদিকে বিচার দাবি, আবার সেইসঙ্গে আওয়ামী লীগের সঙ্গে গোপন সমঝোতার অভিযোগ উঠেছে জামায়াতের বিরুদ্ধে।

সুতরাং, আগামী ফেব্রুয়ারিতে যদি সত্যিই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় তাহলে জামায়াতের ভূমিকা কী হবে; তারা এককভাবে তিনশ আসনে প্রার্থী দেবে নাকি ইসলামিক দলগুলোর সঙ্গে জোট করবে নাকি আবারও সেই বিএনপির সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধবে- সেটি নির্ভর করবে মূলত তাদের রং বদলানোর কৌশলের ওপর।

আমীন আল রশীদ: সাংবাদিক ও লেখক।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ