Views Bangladesh Logo

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের ঝুঁকিতে বিশ্ব অর্থনীতি

সৃষ্টির সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাস আদম সন্তানের রক্তে রঞ্জিত। নিজেদের মহত্ব প্রকাশের দরুন বলি হয়েছে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ। ক্ষমতার অতি উচ্চ আকাঙ্ক্ষা বা অপরের ওপর নিজের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে যুগে যুগে মরিয়া হয়ে ছিল শাসক শ্রেণি। যার ফল লাখ লাখ নিরীহ মানুষের রক্তে জমিন রঙিন হওয়া। যুদ্ধের সূচনা শাসক শ্রেণির হাতে হলেও প্রাণনাশ ঘটে অতি সাধারণ মানুষের। বর্তমান বিশ্বের ইতিহাসও এই ধারাবাহিকতার বাইরে নয়। এরই মধ্যে বিশ্ববাসী দুটো মহাযুদ্ধের ধ্বংসলীলার সাক্ষী হয়েছে।

শুধু তাণ্ডবেই নয়, প্রতিনিয়ত পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে হাজার হাজার মানুষ বলি হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদের নোংরা থাবার। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো ইউক্রেন-রাশিয়া, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন চলমান সংকট। তার জের ধরে নতুন করে ইরান-ইসরায়েল সংকট দেখা দিয়েছে। বিশ্ব মোড়লদের সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের ঘৃণ্য ফলাফল যুদ্ধের করুণ শিকার হাজার হাজার সাধারণ জনতা। মধ্যপ্রাচ্যে লড়াই-সংঘাতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। এত দিন ঢাক গুড় গুড় চললেও এবার ছেড়ে কথা বলেনি ইরান। দেশটি সরাসরি ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে। এ হামলার রাজনৈতিক প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে এবং অর্থনৈতিক প্রভাবও নিছক অল্প নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলা চালালে প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েল ফিলিস্তিনে রীতিমতো গণহত্যায় মেতে ওঠে। এর প্রতিবাদে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা শুরু করে। ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন করে সরবরাহ সংকট সৃষ্টি হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতেও জাহাজে পণ্য পরিবহনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এতে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও যে প্রভাব পড়বে, তা বলেই দেওয়া যায়।

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ পরিস্থিতি এমন সময় তৈরি হলো, যখন বিশ্ববাজার এমনিতেই নানা অনিশ্চয়তায় জর্জরিত। সবচেয়ে বড় অনিশ্চয়তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির ওপর উচ্চহারে শুল্ক বসানোর হুমকি ইতিমধ্যে বিশ্ববাণিজ্যকে বিপর্যস্ত করেছে। বিনিয়োগকারীরা হারাচ্ছেন আস্থা। এতে ভোক্তা ব্যয় ও ব্যবসার খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির গতি মন্থর হয়ে পড়েছে। ইসরায়েল- ইরানের মধ্যকার এই সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হলে চাপ আরও বাড়বে। এফএক্স স্ট্রিটের ২০১৯ সালের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, তেলের দাম ১০ শতাংশ বাড়লে পরের এক বছরে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। ইরান ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠী, যেমন লেবাননের হিজবুল্লাহ বা ইয়েমেনের হুতিরা এই সংঘাতে যুক্ত হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। এতে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল ও পর্যটন খাত কার্যত অচল হয়ে পড়বে। ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার অর্থনৈতিক প্রভাব তাৎক্ষণিক ভাবেই টের পাওয়া যাচ্ছে।

হামলার পরপরই তেলের দাম লাফিয়ে বাড়ে আর বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজার থেকে অর্থ তুলে নিয়ে নিরাপদ বিনিয়োগমাধ্যম, যেমন সরকারি বন্ড ও সোনার দিকে ঝুঁকে পড়েন। অপরিশোধিত তেলের দাম একঝটকায় ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। অপরিশোধিত তেলের অন্যতম মানদণ্ড ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১০ শতাংশের বেশি বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭৫ দশমিক ১৫ ডলারে দাঁড়ায়, গত পাঁচ মাসে যা সর্বোচ্চ। অনেক ব্যবসায়ী ধরে নিচ্ছেন, ইসরায়েলের এই হামলা হয়তো একধাপে থেমে যাবে না। ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার শঙ্কা আছে। খবর ডয়েচে ভেলের। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে কথার যুদ্ধেও পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।

অন্যদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইসরায়েলকে এই হামলার জন্য কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই এশিয়া ও ইউরোপের শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খায় জার্মানির ডিএএক্স সূচক। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ও নাসডাক সূচকেরও পতন হয়। বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ার ছেড়ে নিরাপদ সম্পদে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখেন। ফলে তরতর করে বাড়ছে সোনার দাম। ইউরোপের ভ্রমণ ও বিনোদন খাত সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে, যদিও জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বেড়েছে। রাইনমেটাল ও বিএইইর মতো প্রতিরক্ষা শিল্পের শেয়ারদর ২ থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

ডয়চে ব্যাংকের বিশ্লেষকেরা গবেষণা প্রতিবেদনে মন্তব্য করেছেন, এই হামলার প্রভাব বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে পড়েছে। বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়িয়ে নিরাপদ মাধ্যমে বিনিয়োগ সরিয়ে নিচ্ছেন। তারা আরও বলেন, এই হামলা বড় পরিসরে সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে-এমন আশঙ্কা এখন প্রকট হয়ে উঠেছে। ইসরায়েল ও ইরান নিজেদের আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে। ইরাক ও জর্ডান একই পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস বা বিমান পরিচালন সংস্থা ওই অঞ্চলে উড়ান বাতিল করেছে। যুদ্ধের আশঙ্কায় বিমান ভূপাতিত হওয়ার ভয় আছে-এ পরিস্থিতিতে ওই অঞ্চলে বিমান চলাচল কমে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। বিমান নিরাপত্তা পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ওসপ্রে ফ্লাইট সলিউশনস জানায়, ২০০১ সালের পর বিশ্বজুড়ে ভুলবশত ছয়টি বাণিজ্যিক বিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। প্রায় একই সময়ে তিনটি বাণিজ্যিক বিমান অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে। তবে বিমানের পথ পরিবর্তন করা ব্যয়সাপেক্ষ। এতে যাত্রার সময় বাড়ে, প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত জ্বালানির।

ফ্লাইট ট্র্যাকিংয়ের তথ্যানুসারে, তেল আবিব থেকে বেশ কয়েকটি বিমান উড়াল দেয়। এর মধ্যে কিছু বিমান যাত্রী ছাড়াই সাইপ্রাস ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যায়। ইসরায়েল যখন বিশেষ জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেয়, ততক্ষণে দেশটির মুদ্রা শেকেলের প্রায় ২ শতাংশ দরপতন ঘটে গেছে। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মানুষ সুপারশপে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এমনকি এসব দোকানে পণ্যের তাকও খালি হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, অনেক জায়গাতেই খাবার-দাবারের তাক খালি হয়ে গেছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট জানায়, সুপারমার্কেট চেইন ক্যারেফোরে এক দিনেই ৩০০ শতাংশ ক্রেতা বেড়েছে। ডয়চে ভেলে এ বিষয়ে বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের ভাষ্য, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হলে মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানি বাজার ও বাণিজ্য বিপর্যস্ত হতে পারে। এর অভিঘাত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। মধ্যপ্রাচ্য বিশ্বের অন্যতম প্রধান জ্বালানি উৎপাদনকারী অঞ্চল। সেখানেই বিশ্বের বৃহত্তম তেলের মজুত। সৌদি আরব ও ইরাকের পর ইরান এই অঞ্চলের তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদক। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটি এখনো চীন ও ভারতকে বিপুল পরিমাণে অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করছে। বার্কলেস ব্যাংকের বিশ্লেষক অমরপ্রীত সিং এক গবেষণায় সতর্ক করেছেন, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে এই সংঘাত অঞ্চলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তেল ও গ্যাস উৎপাদন ও জাহাজ নেটওয়ার্কেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই সঙ্গে সবার নজর এখন হরমুজ প্রণালির দিকে। ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের মাঝখানে অবস্থিত এই সংকীর্ণ জলপথ বৈশ্বিক তেল বাণিজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পথ।

ইরান এর আগে বহুবার এই প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। যদি তা বাস্তবে ঘটে, অনেক তেলবাহী ট্যাংকার আটকে পড়বে এবং তেলের দাম আকাশ স্পর্শ করবে। আমেরিকার জ্বালানি তথ্য সংস্থা (ইআইএ) জানায়, প্রতিদিন বিশ্বে যে পরিমাণ তেল ব্যবহৃত হয়, তার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ-১৮ থেকে ১৯ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি ৯০ লাখ ব্যারেল-এই প্রণালি দিয়ে পরিবহন হয়। তেলের দামের সঙ্গে সবকিছুর দামের সম্পর্ক আছে। ফলে তেলের দাম বাড়লে বিশ্বজুড়ে আবারও মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। ২০২৩ সালের শেষ দিকে হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা শুরু করে। তাদের এই হামলার কারণে পণ্য পরিবহনের ভাড়া বেড়ে যায়; বড় বড় জাহাজ কোম্পানি উত্তমাশা অন্তরীপ ঘুরে বিকল্প পথে যাত্রা শুরু করে-এতে সময় ও ব্যয় দুই-ই বেড়ে যায়।

কোপেনহাগেনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জেনেটারের প্রধান বিশ্লেষক পিটার স্যান্ড বলেন, নতুন করে পথ পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে পরিবহন ব্যয় আরও বাড়বে। তখন জাহাজ কোম্পানিগুলো হয়তো নিরাপত্তা মাশুল নামে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করতে পারে। সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর গ্রিস ও যুক্তরাজ্য বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে হরমুজ প্রণালি পারাপারের প্রতিটি যাত্রা নথিভুক্ত করতে বলেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের তামার গ্যাসক্ষেত্র বা উপসাগরীয় এলাকা থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানি বন্ধ হলে ইউরোপ ও এশিয়ার জ্বালানি বাজারে আরও চাপ তৈরি হবে। গাজা যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলও অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখে আছে। এখন ইরানের সঙ্গে বৃহৎ পরিসরে যুদ্ধ শুরু হলে তার ব্যয় ১২০ বিলিয়ন বা ১২ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে- এমন আশঙ্কা করেছেন ইসরায়েলি অর্থনীতিবিদ ইয়াকভ শেইনিন। এই ব্যয় দেশটির মোট জিডিপির ২০ শতাংশ। অন্যদিকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান অনেক আগে থেকেই অর্থনৈতিক সংকটে আছে।

গত ২ এপ্রিল ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের প্রায় সব দেশের পণ্যে পালটা শুল্ক আরোপ করলে মন্দার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এরপর ট্রাম্প পালটা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করলে বিশ্লেষকেরা মন্দার ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস করেন। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে এবং সেই সঙ্গে ট্রাম্পের পালটা শুল্কনীতি কার্যকর হলে বৈশ্বিক মন্দার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতের কারণে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে তেল ও গ্যাসে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দুই দেশের মধ্যকার লড়াই-সংঘাতের চূড়ান্ত পরিণতি হতে পারে তেলের মূল্যবৃদ্ধি। ফলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি আবারও বাড়তে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরানের তেলক্ষেত্রগুলোতে হামলা হলে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ১০০ মার্কিন ডলার, আর হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে তা ১২০ থেকে ১৩০ ডলারে উঠে যাওয়ার শঙ্কা আছে। সোনার দাম এমনিতেই ঊর্ধ্বমুখী।

বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা আরও বাড়লে সোনা কেনার প্রতি মানুষের আকর্ষণ আরও বেড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, বিপদের সময় মানুষ নিরাপদ বিনিয়োগ খ্যাত মাধ্যম হিসেবে সোনার প্রতিই আকৃষ্ট হয়। এটি চিরন্তন সত্য। ওপরের তাত্ত্বিক আলোচনায় এটা প্রতীয়মান হয়েছে যে, চলমান সংকট শুধু দুটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তাদের পরস্পরের বিরোধ আজ বৈশ্বিক সংকটে রূপ নিয়েছে। যার বিরূপ প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে সীমানা থেকে সীমানায়। অসহায় করে তুলছে পৃথিবীর শান্তিকামী লাখো জনতাকে। মানব ইতিহাসের কোনো সংঘাতই শান্তির বার্তা বয়ে আনতে পারেনি। এই অনাকাঙ্ক্ষিত সংকট যা সৃষ্টি করেছে তা হলো শুধু রক্তাক্ত, মলিন আর কান্নার জর্জরিত ইতিকথা। সুতরাং ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের সংঘাত এড়িয়ে সমতা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসা উচিত।

রায়হান আহমেদ তপাদার: গবেষক ও কলাম লেখক।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ