Views Bangladesh Logo

উত্তেজনার মধ্যেই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইরানের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা

ধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে টানা ১২ দিনের সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার ভোরে ইরান যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই ঘোষণা প্রচার করা হয়।

তবে এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ইসরায়েল দাবি করে, ইরান থেকে নতুন করে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, মঙ্গলবার ভোরে দক্ষিণাঞ্চলীয় বিয়ার শেভা শহরে একটি আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এতে অন্তত দু’জন নিহত হন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস।

এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এবং কাতারসহ মিত্র দেশগুলোর সহায়তায় ইরান ও ইসরায়েল ধাপে ধাপে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথমে ইরান হামলা বন্ধ করবে এবং ১২ ঘণ্টা পর ইসরায়েল পাল্টা অস্ত্রবিরতি পালন করবে। আরও ১২ ঘণ্টা পর পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

তবে বাস্তবতা বলছে, মঙ্গলবার ভোরেই ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে সাইরেন বাজতে শুরু করে। আইডিএফ জানায়, ইরান থেকে ছোড়া নতুন ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা হয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে বলেন, “স্থানীয় সময় ভোর ৪টা পর্যন্ত আমাদের সামরিক অভিযান চলেছে। এরপর ইসরায়েল যদি যুদ্ধবিরতি মেনে চলে, তাহলে আমরাও হামলা বন্ধ রাখব। তবে ইসরায়েল আগ্রাসন অব্যাহত রাখলে পাল্টা জবাব দেয়া হবে।”

এছাড়া কাতারে অবস্থিত মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের অগ্রবর্তী ঘাঁটিতে ইরানের পূর্ববর্তী ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ট্রাম্প “দুর্বল প্রতিক্রিয়া” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, ওই হামলায় সেখানে অবস্থানরত ১০ হাজার মার্কিন সেনার কেউ হতাহত হয়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ঘোষণার পরও পরিস্থিতি থমকে নেই। বরং যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন নিয়ে এখনও দ্বিধা ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। সংঘর্ষ থামবে, না আরও বিস্তৃত হবে—এই প্রশ্নে উত্তেজনার পারদ এখনও চূড়ায়।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ