ইসরায়েলে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার দাবি ইরানের
চলমান সংঘাতে ইসরায়েলে হাইপারসনিক ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি জানিয়েছে ইরান। ‘অপারেশন অনেস্ট প্রমিস ৩’-এর ১১তম ধাপে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ইসরায়েলের বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোতে আঘাত হানার কথা বলছে দেশটির অভিজাত ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)।
ফাত্তাহ-১ হলো এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র যা শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি গতিতে চলে এবং মাঝপথে দিক পরিবর্তন করতে সক্ষম, ফলে একে প্রতিরোধ করা অত্যন্ত কঠিন।
বুধবার (১৮ জুন) ভোরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বিবৃতিতে আইআরজিসি জানায়, করা হয়েছে, ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল আঘাত তেল আবিবের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকেও বারবার কাঁপিয়ে দিয়েছে।
এই হামলার আগের রাতেই ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ইরানের রাজধানী তেহরানে হামলা চালায়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ওই অভিযানে তেহরানের একটি অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র ও সেন্ট্রিফিউজ তৈরির একটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। এর আগে একটি এলাকায় সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সতর্ক করেছিল তারা।
এদিকে, ইরান তেল আবিবের নাগরিকদের প্রস্তুত থাকতে বলেছে সম্ভাব্য পাল্টা হামলার জন্য। সেইসঙ্গে ইরান দাবি করেছে, তারা একটি ড্রোনের ঝাঁক ইসরায়েলের দিকে পাঠিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডেড সি অঞ্চলের আকাশে তারা দুটি ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।
এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক মহলে বাড়ছে উদ্বেগ। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের নির্বিচার আত্মসমর্পণ দাবি করে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে তিনি দাবি করেন, ইসরায়েলের এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র কোনো ভূমিকা রাখেনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সংঘাত ষষ্ঠ দিনে গড়ালেও দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় পরিস্থিতি যে কোনো সময় আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে