ইসরায়েলে হামলায় প্রথমবার ‘সেজ্জিল’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের দাবি ইরানের
ইসরায়েলের ভেতরে কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে হামলার সময় প্রথমবারের মতো ‘সেজ্জিল’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইরান। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তাসনিম ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) একটি সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানায়।
সেজ্জিল হলো দুই ধাপের, কঠিন জ্বালানিচালিত একটি ক্ষেপণাস্ত্র, যার পাল্লা আনুমানিক ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। ইরান দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদরদপ্তর, বিমানঘাঁটি ও সেনা কমান্ড সেন্টারসহ উচ্চমূল্যের সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা সাময়িকভাবে বিকল হয়ে যায়, এবং ইরান অল্প সময়ের জন্য আকাশসীমায় কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ নেয়।
সেজ্জিল ক্ষেপণাস্ত্রের সবচেয়ে বড় সুবিধা—এটি কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করে, তাই দ্রুত ছোড়া যায় এবং শত্রুপক্ষের পক্ষে আগেভাগে শনাক্ত করা কঠিন। ইরান নিজেই এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে। ২০০৮ সাল থেকেই এর পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সংস্করণগুলোতে পাল্লা ও নির্ভুলতা আরও বাড়ানো হয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র থেকে এই সেজ্জিল ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত হেনেছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কিছু সামরিক বিশ্লেষকের মতে, এটি হয়তো ইসরায়েলের ‘অ্যারো-৩’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহকৃত ‘টিএইচএএডি’ সিস্টেম দিয়ে আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে, হয়তো জর্ডান বা ইরাকের আকাশসীমায়।
যদি ইরানের দাবি সত্যি হয়, তবে এটিই হবে সেজ্জিল ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম বাস্তব যুদ্ধ ব্যবহার—যা ইরান-ইসরায়েল সংঘাতকে আরও উসকে দিতে পারে এবং মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত ভারসাম্যেও পরিবর্তন আনতে পারে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে