Views Bangladesh Logo

অমরত্ব, শোরা ও বাংলার প্রথম যুদ্ধাস্ত্র

জবেকিস্তানের ফারগানার শাসক ছিলেন তার বাবা। ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে হটিয়ে মসনদের দখল নেয়। রাজা মারা পড়েন। ছেলে আশ্রয় নেন গহিন অরণ্যেঘেরা দুর্গম পাহাড়ে। সেখান থেকেই ঝটিকা আক্রমণে ছোট ছোট কাফেলা জয় করে সৈন্য ও সম্পদ জোগাড় করেন। একের পর সফল আক্রমণ তাকে আরও শক্তিশালী করে। পরে পুনরুদ্ধার করেন ফারগানাও। আরও শক্তিশালী হন, আরও দক্ষিণে এগিয়ে আসেন। এক সময় পুরো আফগানিস্তানও জয় করেন। তখন পাখির চোখে দেখেন ভারতবর্ষকে। স্বপ্ন আরও বড় হয়। সৈন্য-সামন্তের বিশাল বহর নিয়ে চলে আসেন সিন্ধু নদের কিনারায়। ভারতবর্ষের মসনদে তখন ইব্রাহিম লোদী। ডাকসাইটে সম্রাট। তাকে পরাস্ত করতে তাই বিশেষ কিছুর দরকার ছিল। সেই বিশেষ কিছু যুবকটি পেয়েছেন তুর্কিদের কাছ থেকে। বিশাল এক লোহার পাইপ। দুপাশে দুটি চাকা।

পাইপের পেছনে বারুদ ঠেসে অগ্নিসংযোগ করলে বিস্ফোরিত বারুদ জ্বলন্ত গোলার রূপ নিয়ে পাইপের মুখ দিয়ে ছুটে বেরিয়ে যায় দুরন্ত বেগে। লক্ষ্যে গিয়ে আছড়ে পড়ে বিধ্বস্ত করে দেয় সামনে যায় পায়- সৈন্য, ঢাল-তলোয়ার, হাতি-ঘোড়া এমনকি বিশাল বিশাল ইমারত- সবকিছুকে। এই ভয়ানক যন্ত্রের খবর ভারতবর্ষের শাসক তখনো পাননি। ঘোড়সওয়ার আর হস্তিবাহিনীর বিশাল এক বহর সিন্ধুর এপারে জমায়েত হয়। নেতৃত্ব দেন স্বয়ং সম্রাট ইব্রাহিম লোদী। ভাবখানা এমন, তরুণদের দলটা নদী পেরুলেই কচুকাটা করবেন। তার আগেই তীর-ধনুকের নিশানা করে যতগুলো পারা যায় শত্রুসেনা খতম করার সব রকম ব্যবস্থাই করা করে রেখেছেন; কিন্তু উজবেক তরুণ সে ফাঁদে পা না দিয়ে গোলান্দাজ বাহিনীকে নির্দেশ দিলেন গোলা ছুড়তে। প্রথম আঘাতেই কেল্লাফতে। স্বয়ং ইব্রাহীম লোদীকেই আঘাত করে প্রথম গোলা। নেতা মারা যাওয়াই দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে লোদীর বাহিনী। খুব কম সময়ের যুদ্ধে ভারত দখল করে নেন প্রথম মুঘল সম্রাট বাবর। বাবরেই জন্য কামন ছিল বহ্মাস্ত্র। আর এই কামান চালাতে লাগে গোলাবারুদ। আর বারুদ আবিষ্কারের পেছনে রয়েছে এক মজার গল্প- অমরত্ব হাতড়ে বেড়ানোর কাহিনি।

যুগ যুগ ধরে অমরত্বের পেছনে হন্যে হয়ে ঘুরছে মানুষ। শত যুগ পেরিয়ে এসেও মানুষের সেই আশা পূরণ হয়নি। অমরত্ব দূরে থাক, শত বছর বেঁচে থাকার তরিকাও এখনো পাননি চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। কালেভদ্রে কয়েকজন হয়তো শত বছর পার করেন; কিন্তু সেখানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের চেয়ে কিছুটা ভাগ্য আর কিছুটা খাদ্যাভ্যাস দায়ী থাকে। এাছাড়া জীবন-যাপন ও উত্তরাধিকার সূত্রে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বেশি আয়ুর পক্ষে কাজ করে। প্রাচীন যুগ থেকে বিভিন্ন দেশের পণ্ডিতরা অমরত্বের সন্ধান করতে গিয়ে করেছেন আলকেমির চর্চা। চেয়েছেন অমৃতরস আবিষ্কার করতে। তবে হাজার বছরের সাধনাতেও বিজ্ঞানীদের কপাল খোলেনি। তবে রসায়নবিদ্যার ভিত্তিটা গড়ে দিয়েছেন ওইসব অ্যালকেমিস্টরাই; কিন্তু মানুষের অমরত্ব দেওয়ার জিনিস তৈরি করতে গিয়ে যদি মানববিধ্বংসী কেমিক্যাল আবিষ্কার হয়ে যায়, কেমন লাগে!

ঘটনাটা খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে। তখন চীনের মসনদে হান সাম্রাজ্যের অন্যতম প্রভাবশালী সম্রাট উ দি। সেযুগে রাজা-বাদশারা ভীষণ ভোগ-বিলাসী ছিলেন, সব দেশের রাজা-বাদশারাই। নিজেদের আরাম আয়েশের জন্য রাজকোষ শূন্য করার নজিরও কম ছিল না। সুতরাং ওইসব রাজা বা সম্রাটেরা মৃত্যুকে জয় করতে চাইবেন, সেটাই স্বাভাবিক। উ দি তাঁর রাজ্যের গবেষকদের তলব করলেন। আদেশ দিলেন, যেন তাঁর জন্য অমৃত রস শিগগির তৈরি করা হয়। গবেষকেরা তটস্থ হয়ে শুরু করে দিলেন কাজ। সালফারের সঙ্গে পটাশিয়াম নাইট্রেট মিশিয়ে বানাতে চাইলেন ওষুধ; কিন্তু এ মিশ্রণের ফল হলো বিধ্বংসী। দুই ধরনের রাসায়নিক পরস্পরের সংস্পর্শে আসামাত্র বিস্ফোরিত হয়; কিন্তু সেই বিস্ফোরণ অত বড় কিছু ছিল না। সে ঘটনায় কেউ নিহত হওয়ার কোনো তথ্য ইতিহাসে নেই।

প্রথমে গবেষকরা এই ছোট্ট বিস্ফোরণটাকে পাত্তা দেননি। ধরেই নিয়েছিলেন, অমরত্ব দেবে যে জিনিস, সেটা তৈরি করতে গেলে একটু তেজ দেখাবে না! নিশ্চয়ই আরেকটু চেষ্টা করলেই কাঙ্ক্ষিত অমৃত তৈরি হয়ে যাবে; কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও উ দির গবেষকেরা সফল হননি। সুতরাং রণে ভঙ্গ দেন তাঁরা। বন্ধ হয় সে গবেষণা। বহুদিন অবশ্য গোলাবারুদ নিয়ে গবেষণা চাপা পড়ে ছিল। খ্রিষ্টীয় তৃতীয় শতকে আবার এটা টুকটাক কাজ করা হয়; কিন্তু সে সময় বারুদ ব্যবহার করে পূজা-অর্চনা বা অনুষ্ঠানে বাজি ফোটানো হতো। এর বাইরে যুদ্ধক্ষেত্রে মানুষ মারার কাজে তখনো বারুদের ব্যবহার শুরু হয়নি। অষ্টম শতাব্দীতে বারুদের গবেষণা তুঙ্গে ওঠে। এবং যুদ্ধক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয় গোলাবারুদ। এমনকি গোলাবারুদের সাহায্যে চীনারা ইতিহাসের প্রথম রকেট বা ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে।

সেকালের মতো আজও সালফারের সঙ্গে নাইট্রোজেন মিশিয়ে তৈরি হয় গোলাবারুদ। গোলাবারুদ তৈরির প্রধান উপদান যে যৌগটি, তার নাম বৈজ্ঞানিক নাম পটাশিয়াম নাইট্রেট। আর ডাক নাম শোরা বা সল্টপিটার। শুধু সল্টপিটার বললে অবশ্য ভুল হবে- পুরো নাম বেঙ্গল সল্টপিটার। চীনে আবিষ্কৃত একটা জিনিস, যেটা কামানে প্রথম ব্যবহার করেছিলেন তুর্কিরা, সেই জিনিসের সঙ্গে বাংলার নাম জুড়ে গেল কেন? এর পেছনেই রয়েছে যুদ্ধ আর শোষণের ইতিহাস। যে ইতিহাস অনেকটা নীলচাষের মতোই করুণ। গোলা বারুদের প্রধান উপাদান সল্টপিটার, এর সঙ্গে আছে ফসফরাস ও কাঠ কয়লা। আগেই বলেছি সল্টপিটারের বৈজ্ঞানিক নাম হলো পটাশিয়াম নাইট্রেট।

বারুদ তৈরি করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে সল্টপিটার, কয়লা আর সালফার কিংবা গন্ধকের সমন্বয়ে একটা ককটেল তৈরি করতে হবে। মূল উপাদান পটাশিয়াম নাইট্রেট হলেও, বিস্ফোরণ ক্ষমতা তৈরি করতে হলে ফসফরাস বা গন্ধ লাগবেই। সল্টপিটার হলো শক্তিশালী জারক। আর এর সাহায্যে জারণ বিক্রিয়া ঘটাতে গেলে জ্বালানি দরকার হবে। আর সেই জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় কাঠকয়লা আর সালফার, যার বাংলা নাম গন্ধক। ফসফরাস একটু তাপের সংস্পর্শে এলেই হুস করে জ্বলে ওঠে। জ্বলে ওঠা আগুনকে স্থায়ী রূপ দিতে দরকার হয় কাঠ কয়লার; কিন্তু সাধারণ আগুনের আর কতই বা ক্ষমতা! বিস্ফোরণের জন্য চাই প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন, প্রচুর মাত্রায় জারণ বিক্রিয়া। আর সেই অক্সিজেনের জোগান আসবে পটাসিয়াম নাইট্রেট থেকে। যেটাকে আমরা বেঙ্গল সল্টপিটার বলছি। আর সবমিলিয়ে যেটা হবে, সেটাকেই গোলাবারুদ বলে।

বারুদে সল্টপিটার, কয়লা আর ফসফরাসের অনুপাতের ওপরই নির্ভর করবে আপনি এটাকে কোন অস্ত্রে এটা ব্যবহার করবেন। চতুর্দশ শতাব্দীতে ইউরোপে যেসব বারুদ তৈরি হতো সেগুলোতে এই তিন উপদান সমানভাবে মেশানো হতো; কিন্তু কয়েক দশক পর যুদ্ধাস্ত্রের নানা আকার ও নানারকম ব্যবহার হতে শুরু করে। তখন বারুদের ধরনও যায় পাল্টে। যেমন, ষোড়শ শতাব্দীতে বড় কামানের জন্য যে গোলাবারুদ ব্যবহার হতো, তাতে ৫০ শতাংশ সল্টপিটার, ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ কয়লা এবং ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ সালফার ব্যবহার করা হতো। ছোট কামানে ৬২ ভাগ সল্টপিটার, ২৫ ভাগ কয়লা বাকি ১৩ ভাগ সালফার ব্যবহার করা হতো। অন্যদিকে গাদা বন্দুকের জন্য সল্টপিটার, কয়লা আর সালফারের অনুপাত ছিল ৮৩ দশমিক ৩৩, ১৬ দশমিক ৬৭ ও ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

বায়ুমণ্ডলে সবচেয়ে বেশি আছে নাইট্রোজেন। অর্থাৎ বাতাসেই গোলাবারুদের মূল উপদান ছড়িয়ে আছে; কিন্তু সেকালের মানুষের জন্য বাতাস থেকে নাইট্রোজেন নিষ্কাশন করে করা ছিল রীতিমতো দুঃসাধ্য। আর দুঃসাধ্যের কাজটিই করে দিত এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া। তবে বাতাসের নাইট্রোজেনের চেয়ে মৃত জীবদেহ, ময়লা আবর্জনা ও প্রাণীদের মলমূত্রই ছিল নাইট্রোজেনের প্রধান উৎস। এসব জিনিস পচিয়ে ব্যাকটেরিয়াগুলো অ্যামোনিয়া বা নাইট্রোজেন ট্রাইহাউড্রাইড তৈরি করে। তারপর অ্যামোনিয়া থেকে হাইড্রোজেন সরিয়ে পটাশিয়াম ও অক্সিজেন যুক্ত হয়ে তৈরি করে পটাশিয়াম নাইট্রেট। যেটাকে আমরা বেঙ্গল সল্টপিটার বা পটাশিয়াম নাইট্রেট বলছি।

পটাশিয়াম নাইট্রেড মাটিতে মিশে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। বর্ষাকালে পানিতে ধুয়ে এই নাইট্রেট চলে যায় মাটের কিছুটা নিচের দিকের স্তরে। বর্ষার পরে যখন শুষ্ক মৌসুম আসে, তখন পানি শুকিয়ে যায়, কিন্তু মাটির নিচের সেই স্তরে জমে থাকে সল্টপিটার বা পটাশিয়াম নাইট্রেট। তারপর সেই সল্টপিটার কারখানায় নিয়ে গিয়ে তাতে কয়লা ও সালফার মিশিয়ে তৈরি করা হয় বারুদ। বাংলা তখনো ভাঙেনি। বিহার, ওড়িশা, বর্তমান বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম নিয়ে তখনকার সুবে বা সুবাহ বাংলা নামের একটা রাজ্য পরিচালিত হতো। সুবেহ বাংলা যেকোনো অঞ্চলের জিনিসই তাই বাংলার নামেই পরিচিতি পাবে, এটাই স্বাভাবিক। যেমন এখন টাঙ্গাইলের জামদানি, কিংবা চাঁদপুরের ইলিশ সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের নামেই পরিচিত হয়, তেমনি সল্টপিটার উৎপাদনের মূল জায়গা ছিল বিহারের পাটনা শহর। সেখান থেকেই এর নামের সঙ্গে বাংলা জুড়ে হয় বেঙ্গল সল্টপিটার।

এ ছাড়া এই গোলাবারুদ সারা বিশ্বে পৌঁছুত কলকাতার চুঁচুড়া বন্দর থেকে। সুতরাং বেঙ্গল সল্টপিটার হওয়ার এটাও অন্যতম কারণ। ডাচ কিংবা ব্রিটিশ উভয়ের একটা সাধারণ নামের কোম্পানি ছিল, প্রথমে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, পরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়। আরও পরে গঠিত হয় পরে ফ্রেন্স ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও- এর পেছনে মূল কারণ ছিল বাংলার এই ব্রহ্মাস্ত্রের ব্যবসায় ভাগ বসানো। আমাদের এই অঞ্চল একসময় পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী এলাকা ছিল বটে, কিন্তু হতদরিদ্র মানুষের বাস সেকালেও কম ছিল না। তাছাড়া আবার ছিল জাতপাতের ভেদাভেদ। নিচুস্তুরের হিন্দুদেরকে অচ্ছুত করে রাখার প্রবণতাও ছিল। এই অচ্ছুত একদল দরিদ্র মানুষ করত পটাশিয়াম নাইট্রেট নিষ্কাশনের কাজ। এদেরকে বলা হতো নুনিয়া। কারণ, সল্টপিটার এক ধরনের লবণ। বাংলার মতো পাটনাতেও লবণকে নূন বলার রীতি ছিল।

আর সল্টপিটার নামের নুন সংগ্রহের কাজ করত বলেই এই গোষ্ঠীটাকে বলা হতো নুনিয়া। এদের মহজাজন ছিল জোতদার ব্যবসায়ীরা। তারা গবাদি পশু পালন করত, নুনিয়াদের কাজ ছিল দূরের কোনো ঘাসজমিতে সেসব গবাদি পশু চরাতে নিয়ে যাওয়া। গরু-বাছুরের দল সেখানে ঘাস যেমন খেত, দিনভর মলমূত্রও তাগ করত। জমা হতো মলমূত্রের বিশাল স্তূপ। গবাদিপশুর মলমূত্র নাইট্রোজেন তথা অ্যামোনিয়ার বড় উৎস। সেই অ্যামোনিয়া রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে তৈরি হতো সল্টপিটার। ফলে সেসব জমিতে সারা বছর ধরে জমা হতো সল্টপিটারের দানা। তারপর সেসব শুষ্ক মৌসুমে মলমূত্রের ঢিবির নিচে সাত-আট ইঞ্চি পুরু একটা সাদা স্তর পড়ে থাকত। নুনিয়ারা সাদা মাটির মাটির স্তর তুলে আনত মলমূত্র ঘেঁটে।

জমাট শুকনো মাটির স্তরগুলো ছোট ছোট করে ভেঙে পানিতে গুলিয়ে নেওয়া হতো। সল্টপিটার পানির সঙ্গে গুলে যেত বটে, কিন্তু থিতিয়ে যাওয়ার পাত্রের নিচে জমা হত মাটি। তখন ওপরের সেই সল্টপিটার মিশ্রিত পানি আলাদা করে নেওয়া হত। সেগুলো চুলায় বার বার জ্বাল দিয়ে পানি শুকিয়ে বিশুদ্ধ করা হতো। তারপর সেই সল্টপিটার পর্তুগিজ, ডাচ ও ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের হাত ধরে ছড়িয়ে পড়ত সারা বিশ্বে। বাংলার এই সল্টপিটার দিয়েই গোটো বিশ্বে তখন ধুন্দুমার যুদ্ধ চলেছিল। বিশেষ করে ইউরোপে। এমনকি মার্কিন স্বাধীনতা যুদ্ধেও বেঙ্গল সল্টপিটার বড় ভূমিকা রেখেছিল। তার আগে বাংলার সল্টপিটারের কারণেই মহাপরাক্রমশালী ফরাসিদের পরাজিত করে ব্রিটিশরা ইউরোপে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে। তবে সেই আজ নয়, গল্প আরেক দিনের জন্য তোলা রইল।

আবদুল গাফফার রনি: বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ