Views Bangladesh Logo

বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের ১.৩৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন

ন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মসূচির তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যালোচনা সম্পন্ন করে ১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে। এ অর্থ বাংলাদেশের এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ), এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) কর্মসূচির আওতায় দেয়া হবে।

এই ঋণের মধ্যে ৮৮৪ মিলিয়ন ডলার ইসিএফ/ইএফএফ কর্মসূচির আওতায় এবং ৪৫৩ মিলিয়ন ডলার আরএসএফ-এর আওতায় ছাড় করা হবে, যা মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যয় হবে।

সোমবার (২৩ জুন) আইএমএফ এক বিবৃতিতে জানায়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশের কর্মসূচি বাস্তবায়ন মোটামুটি সন্তোষজনক। তবে মুদ্রানীতিগত স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেয়া এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে জরুরি সংস্কার চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।

বিবৃতিতে আইএমএফের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাইজেল ক্লার্ক বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো একাধিক বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে। তবু কর্মসূচি বাস্তবায়ন যথাসম্ভব সঠিক পথে রয়েছে। প্রয়োজনীয় নীতি ও সংস্কারের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি উল্লেখযোগ্য।”

তিনি বলেন, “বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠন এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা এখন দেশের অগ্রাধিকার। এ ক্ষেত্রে নতুন বিনিময় হার ব্যবস্থা চালু এবং ২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব বৃদ্ধিমূলক পদক্ষেপ নেওয়াকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কঠোর মুদ্রানীতি, নমনীয় বিনিময় হার এবং রাজস্বভিত্তিক রাজস্ব সংহতি নিশ্চিত করতে হবে। সামাজিক সুরক্ষা, উন্নয়ন ও জলবায়ু প্রকল্পের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ সংস্থান করতে কর রাজস্ব আদায় বাড়ানো এবং ভর্তুকি হ্রাস অপরিহার্য।

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত এবং আমানতকারীদের সুরক্ষায় নতুন ব্যাংকিং বিধিমালা দ্রুত বাস্তবায়নের ওপরও জোর দিয়েছে আইএমএফ।

এছাড়া, ভবিষ্যতের লক্ষ্য অর্জনে রপ্তানি বহুমুখীকরণ, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, শাসনব্যবস্থার উন্নয়ন এবং তথ্যের মানোন্নয়নকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। আরএসএফের আওতায় বরাদ্দ এই ঋণ প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, নীতিগত সমন্বয় এবং জলবায়ু অর্থায়ন সংগ্রহে সহায়ক হবে, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের প্রস্তুতি আরও দৃঢ় করবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ