গ্রেপ্তারের কয়েকঘন্টা পরেই হিরো আলমের জামিন

সাবেক স্ত্রীর দায়ের করা হত্যাচেষ্টা ও মারধরের মামলায় গ্রেপ্তারের ঘণ্টা কয়েক পরেই জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম জামিন পেয়েছেন।
শনিবার বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান তার জামিনের আদেশ দেন।
হিরো আলমের আইনজীবী শান্তা সাকসিনা তার মক্কেলের জামিন পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন।
আদালতের আদেশের পর বাকি প্রক্রিয়া শেষে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটের দিকে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানা থেকে কারামুক্ত হন আলোচিত এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর। একটি মোটরসাইকেলে করে দ্রুত আদালত প্রাঙ্গণ ছাড়তে দেখা যায় তাকে।
শনিবার দুপুরে হাতিরঝিলের উলন এলাকায় হিরো আলমের অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিকালে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
পরে জামিনের শুনানিতে হিরো আলমের আইনজীবী শান্তা সাকসিনা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী জিয়াউর রহমান রুবেল জামিনের বিরোধীতা করেন।
শুনানিকালে রিয়া মনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত তার বক্তব্য শুনতে চান। তখন রিয়া মনি বলেন, “হাজারটা মিডিয়া ডেকে আমাকে তালাক দেয়। আমাকে বাজে মেয়ে বলে। …তাহলে কীভাবে আমার সঙ্গে চার বছর সংসার করল।”
এসময় কাঁদতে কাঁদতে রিয়া মনি অভিযোগ করে বলেন, “আমার তো বাঁচার অধিকার আছে। নৃশংস আচরণ করেছে আমার সাথে, সাইবার বুলিং করছে।"
উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন। পরে ২০০ টাকা মুচলেকায় হিরো আলমকে জামিনের আদেশ দেন।
গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় এ মামলা করেন রিয়া মনি। মামলা হওয়ার পরপর বগুড়ার ধুনটে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন হিরো আলম।
২৭ জুন দুপুরে প্রথমে তাকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। খবর পেয়ে সেদিনই হিরো আলমকে দেখতে ঢাকা থেকে ছুটে যান রিয়া মনি।
হিরো আলমের পাশাপাশি তার ‘সহযোগী’ আহসান হাবিব সেলিমকে এ মামলায় আসামি করা হয়। তারা দুজনই জামিনে ছিলেন।
কিন্তু ঠিকমত আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় ‘জামিনের শর্ত ভঙ্গের কারণে’ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে