‘কুষ্টিয়া গণহত্যা’ মামলায় ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৪ অক্টোবর

জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে কুষ্টিয়ায় সাতজনকে হত্যা-গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ১৪ অক্টোবর ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের আবেদনে শুনানি পিছিয়ে দিন পুনর্নির্ধারণ করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। অন্য দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

রাষ্ট্রপক্ষে অভিযোগ গঠনের শুনানি করতে এক সপ্তাহ সময় চান প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। তবে আরও দুদিন সময় চেয়ে আবেদন জানান হাসানুল হক ইনুর আইনজীবী নাজনীন নাহার।

মামলাটিতে ২৫ সেপ্টেম্বর হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল-২। ২৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করে তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরেরও নির্দেশ দেয়া হয়।

ইনুর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের আটটি অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগটি সেদিনই সকালে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছিলেন প্রসিকিউশন। তাদের দাবি, তদন্ত সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দাখিল করা এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগে ইনুর বিরুদ্ধে অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ ও সত্যতা মিলেছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কুষ্টিয়ায় একজনকে মাথায় এবং ছয়জনকে শরীরে গুলি করে হত্যায় জড়িত হাসানুল হক ইনু।

৩৯ পৃষ্ঠার এই অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামি হাসানুল হক ইনু গণআন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে টিভি চ্যানেলে বক্তব্য দেন এবং আন্দোলনকারীদের বিএনপি, জামায়াত, সন্ত্রাসী, জঙ্গি ইত্যাদি সাম্প্রদায়িক ট্যাগ দিয়ে উসকানি দেয়াসহ নানা অপরাধে সায় দেন। সরকারের কারফিউ জারি ও লেথাল উইপন ব্যবহার করে হত্যাসহ নির্যাতনকে কৌশলে সমর্থন দেন।

এছাড়া আন্দোলন দমনে গুলি, বোম্বিং ও হত্যাসহ শেখ হাসিনার নেয়া পদক্ষেপের অনুমোদন দেন। এসব পরিকল্পনা কার্যকর করতে শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে ষড়যন্ত্র, সহায়তা ও সম্পৃক্ত থাকাসহ আটটি অভিযোগ আনা হয়েছে ইনুর বিরুদ্ধে।

গত বছরের ২৬ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা থেকে হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে বেশকিছু হত্যা মামলায় কারাবন্দি সাবেক এই মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য।