তারেক রহমান-জোবাইদার সাজা বাতিল
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্যগোপনের মামলায় নয় বছরের কারাদণ্ড থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও।
বুধবার (২৮ মে) বিচারিক আদালতের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ডা. জুবাইদা রহমানের আপিল গ্রহণ করে এ রায় দেন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলাটির এই রায়ের মাধ্যমে তারেক-জুবাইদা দম্পতি সবগুলো মামলায় খালাস পেলেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
১৩ মে আপিলের জন্য জুবাইদার ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা এবং ১৪ মে আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জরিমানা স্থগিত করে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেয়া হয়।
সোমবার (২৬ মে) আপিলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল করিম।
সম্পদের তথ্যগোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করে দুদক। ২০২৩ সালের ২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে তারেক রহমানকে দুই ধারায় মোট নয় বছর এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত।
রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তারেক রহমানকে তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ড এবং তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। জুবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। পরে এক আবেদনে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছিলো।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে চলে যান ডা. জোবাইদা রহমান। ১৭ বছর পর ৬ মে শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরে আসেন তিনি।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে