অর্থপাচার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে জি কে শামীম খালাস
সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে তাকে জামিনও দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) শামীমের আপিল গ্রহণ করে এ রায় দেন বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২০২৩ সালের ১৭ জুলাই মামলাটির রায়ে অর্থপাচার আইনের বিভিন্ন ধারায় জি কে শামীমকে ১০ বছর এবং তার সাতজন দেহরক্ষীকে চার বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ-১০ মো. নজরুল ইসলামের আদালত। পাশাপাশি তাদের তিন কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর চাঁদাবাজি এবং টেন্ডার কারসাজির অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) শামীমকে গ্রেপ্তার করে। তার দেহরক্ষীদেরও হেফাজতে নেয়া হয়। এরপর নিকেতনে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল সংখ্যক গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, নগদ এক কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ও মদ জব্দ করা হয়।
পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে র্যাব। এর মধ্যে অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে এই মামলাটি করেন র্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান।
২০২০ সালের ৪ আগস্ট শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অর্থনৈতিক অপরাধ ইউনিটের অতিরিক্ত বিশেষ সুপারিনটেনডেন্ট আবু সাঈদ।
চার্জশিটে অভিযোগ করা হয়, শামীমের দুটি বাড়িসহ বিভিন্ন ব্যাংকে ১৮০টি স্থায়ী আমানত অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩৩৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা ছিল। ঢাকায় রায়েছে ৪১ কোটি টাকা মূল্যের ৫২ কাঠা (প্রায় ০.৮৫ একর) জমিও। সরকারি অফিসে টেন্ডার কারসাজি এবং বাস টার্মিনাল ও পশুর হাটে চাঁদাবাজির মাধ্যমে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন শামীম।
অভিযোগ গঠন করে ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর মামলাটির বিচার শুরু হয়।
অস্ত্র আইনের অন্য মামলাটিতে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর শামীম এবং তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে