হাসিনার বিরুদ্ধে ৮৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র, সাক্ষী ৮১ জন
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাকে মূল নির্দেশদাতা উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঁচটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র ১৩৫ পৃষ্ঠার এবং অভিযোগ প্রমাণে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত, দালিলিক প্রমাণ, ভিডিও ও অডিও কলের বিস্তারিতসহ মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার সম্পূরক নথি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে।
রোববার (১ জুন) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিলের শুনানি শুরু হলে তা সরাসরি সম্প্রচার করে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি।
জুলাই বিপ্লবের সময় ঘটে যাওয়া হত্যাযজ্ঞে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা বিস্তারিত তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। তিনি শুরুতে আওয়ামী লীগের দুঃশাসন এবং ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করেন।
১৩টি ভলিউমে সাজানো সাড়ে ৮ হাজার পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে গুম, খুন, নির্যাতনসহ নানাবিধ মানবতাবিরোধী অপরাধের বর্ণনা রয়েছে। ১৩৫ পৃষ্ঠার মূল আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ওই সকল অপরাধের মূল পরিকল্পনাকারী ও কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন শেখ হাসিনা।
অভিযোগপত্রে ‘গ্যাং অব ফোর’ হিসেবে ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, তাদের যৌথ পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও উসকানিতে সারা দেশে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও ১৪ দল যে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে — সেটি একটি ক্রিমিনাল সংগঠন হিসেবে গণ্য করার মতো অপরাধ বলে অভিহিত করেন তিনি।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, এটি কোনো প্রতিশোধমূলক মামলা নয়। এ বিচার হবে কেবলমাত্র প্রমাণের ভিত্তিতে। যাতে করে নতুন বাংলাদেশে এই ফ্যাসিবাদী শক্তি আর কোনো দিন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে