নেপালের জেন জিদের সাংকেতিক বার্তা
সম্প্রতি নেপালে ঘটে যাওয়া বিক্ষোভকে নাম দেয়া হয়েছে ‘জেন জি বিপ্লব’। এই আন্দোলন নানাভাবে বিশ্বকে বিস্মিত করেছে। প্রথতম, এটি ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত গণজাগরণ। যখন প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ ছিল তখন জেন জিদের তৎপরতায় নেপালজুড়ে গণআন্দোলন শুরু হয়। দ্বিতীয়ত, যে বিষয়টি বিস্ময়কর, শুরু হওয়ার পর মাত্র দুদিনেই এর পরিসমাপ্তি ঘটে। অনমনীয়, একরোখা শাসনব্যবস্থার পতন ঘটায়। ছিটকে পড়ে পুরোনো শাসনব্যবস্থা। আরও বিস্ময়কর হলো এই বিক্ষোভে বিশেষ কোনো নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি ছিল না। কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ঘোষিত কোনো কর্মপরিকল্পনা ছাড়াই, সমন্বিত উদ্যোগে এই আশ্চর্যজনক গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। সত্যিই আশ্চর্যজনক ঘটনাই বটে!
জানা গেছে, এই গণবিক্ষোভ শুরু হয় হামি নেপালের একটি সাধারণ আহ্বানের মধ্য দিয়ে। ভূমিকম্প ও কোভিড-১৯ এর মতো সংকটকালীন সময় এই দাতব্য সংস্থাটি মানুষের সাহায্যে কাজ করেছিল। তাদের দুটি দাবি ছিল: প্রথমত, ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ মোট ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য সরকারকে বাধ্য করা। দ্বিতীয়ত, সংস্থাটি দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তারের বিরুদ্ধে সরকারকে সতর্ক করেছিল। দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত দ্রুত কার্যকর করতে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সংস্থাটি সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাপ দিয়েছিল।
তাদের প্রথম দাবিটি জনপ্রিয় হলেও সেটা তাদের মূল দাবি ছিল না। বড় কোনো ঘটনার তাৎক্ষণিক আহ্বান ছিল কেবল। জনগণের ক্ষোভের প্রকাশ প্রথমে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি সরকার তেমন আমলেই নেননি। সরকারের অসংখ্য দুর্বলতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের সব মনের ক্ষোভ উগড়ে দিল। সরকার এতে খুবই বিব্রতবোধ করে। আন্তর্জাতিকভাবেও হেয় হয়। ফলে সরকারও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেয়; কিন্তু এটা সরকারের জন্য আরও বুমেরাং হয়ে আসে। জনঅসন্তোষ আরও তীব্র আকার ধারণ করে।
অন্যদিকে সরকারও নাছোড়বান্দা। সরকার বুঝতেই পারেনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মত প্রকাশ জেন জিদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে তারা শুধু নিজের মনের ভাব প্রকাশ করে না, সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে একীভূত হয়। অনেকের জন্য এটা তাদের আয়েরও উৎস। সারা বিশ্বের সঙ্গে তাদের যোগাযোগমাধ্যম, এর মাধ্যমে তারা ক্লায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে, নিজেদের অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়। একাডেমিক কাজও এর মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়। এখন তো পণ্যের মার্কেটিংয়ের জন্যও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জনপ্রিয়। অনলাইন কেনাকাটার জন্যও অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। দেশের বাইরে বন্ধুবান্ধব, প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্যও এর চেয়ে ভালো ও সহজ উপায় নেই। ফলে সব মিলিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের স্থবিরতা তাদেরও স্থবির করে দেয়। আর এর ফলে তারা আরও বহুগুণ শক্তিতে জ্বলে ওঠে।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে, চলমান দুর্নীতি নিয়ে জনগণ কেবল বর্তমান সরকারের ওপরই ক্ষুব্ধ ছিল না। আগের সব ব্যর্থতাও তাদের মনে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। অতীত ও বর্তমানের সামগ্রিক রাষ্ট্রিক ব্যর্থতা তাদের মনে অন্যরকম এক বিদ্রোহ হয়ে ধরা দেয়। আজকের জেন জিরা ২০০৫ সালে ছিল শিশু-কিশোর। সে সময় নেপাল থেকে রাজতন্ত্র উৎখাত করে দেশে গণতন্ত্র বা প্রজাতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছিল। তখন এই শিশু-কিশোর-তরুণরাই শুনেছিল অনেক গালভরা স্বপ্নের কথা- দেশে উন্নয়ন হবে, অর্থনৈতিক অবস্থা বদলে যাবে, অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থা কায়েম হবে, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে, বিশ্বমানের অবকাঠামোতে ছেয়ে যাবে সারা দেশ, এক ধরনের সমাজতান্ত্রিক সমাজ গড়ে উঠবে। বড় হতে হতে তারা দেখল সবই ফাঁকা বুলি। প্রতিশ্রুতি যত শুনেছিল বাস্তবে তার কিছুই হয়নি। দেশের উন্নয়ন গতি কচ্ছপ গতির। বার্ষিক বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশের নিচে। খুবই হতাশাজনক। মাথাপিছু আয় স্থির হয়ে আছে। এসব দেশে প্রতিদিন ২ হাজার তরুণ দেশ ত্যাগ করেছে। আগে কখনো দেখা যায়নি এমন হতে, ধনী-গরিবের বৈষম্য বেড়েছে। এই সব সমস্যার মোকাবিলার একমাত্র উপায় ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা। তরুণরা বুঝতে পেরেছিল দুর্নীতিই সব সমস্যার মূল। এটি দেশের অগ্রগতির পথে প্রথম বাধা।
প্রতিবাদের প্রথম দিন ছিল ৯ সেপ্টেম্বর। সেদিন তরুণরা জড়ো হয় কাঠমান্ডুর মৈতিঘর মণ্ডলে। এটি ছিল তাদের নির্দিষ্ট বিক্ষোভস্থল। জানা গেছে, এর জন্য তারা কাঠমান্ডু জেলা কার্যালয় থেকে অনুমতিও নিয়েছিল। জনসমাগম বাড়তে থাকলে বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনের দিকে যেতে থাকে। হঠাৎ করেই তাদের কেউ কেউ সংসদ ভবনের প্রাচীর ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। দায়িত্বরত সশস্ত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি চালায়। এতে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কয়েকজন নিহত হন। তাদের মধ্যে কয়েকজন ছিল স্কুল ড্রেস পরা শিক্ষার্থী। প্রথমে হতাহতের সংখ্যা ছিল মাত্র ২ জন; কিন্তু হাসপাতালে আহত কয়েকজন মারা যাওয়ার পর সংখ্যাটি অচিরেই ১৯-এ পৌঁছে যায়। এই মৃত্যুসংখ্যা দেখে বিক্ষোভকারী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশা করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী এখন পদত্যাগ করবেন; কিন্তু তিনি তা করেননি। কেবল তার গৃহমন্ত্রী, জনাব রমেশ লেখক, ‘নৈতিক কারণে’ পদত্যাগ করেন। মানুষ আশা করেছিল আরও পদত্যাগ হবে; কিন্তু ওলি সরকারের তথ্যমন্ত্রী প্রিভি সুব্বা গুরুং লাইভে আসার মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন না। সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেবে না। এতে জনগণ আরও ক্ষুব্ধ হয়।
পরের দিনের ভোর থেকেই তরুণরা রাস্তায় নেমে আসে। এবার তাদের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় বহুগুণ বেশি। তাদের প্রতিবাদ এখন আর কেবল স্লোগান-প্রচারণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। তারা সরকারের সম্পত্তি ধ্বংস করতে শুরু করে। যার মধ্যে ছিল সুপ্রিম কোর্ট, অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস, রাষ্ট্রপতির ভবন, সংসদ ভবন, কয়েকটি পুলিশ পোস্ট, জেলা অফিস ইত্যাদি। এ ছাড়াও তারা কয়েকটি বাণিজ্যিক সুপারস্টোর, গাড়ির শোরুম, ট্রাফিক পুলিশ অফিস, পরিবহন অফিস ইত্যাদি ধ্বংস করে ফেলে।
দ্বিতীয় দিনে আগুনের তাণ্ডব আরও বহুগুণ ছড়িয়ে পড়ে। কাঠমান্ডুর সীমানা ছাড়িয়ে তারা দেশের বিভিন্ন ছোটবড় শহরে ও শহরতলিতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করতে বাধ্য হন; কিন্তু ইতোমধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে। শিগগিরই অন্য মন্ত্রীরাও পদত্যাগ করেন। তবে ক্ষুব্ধ জনতা তাদের ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যায়। তারা মন্ত্রীদের বাড়ি ধ্বংস করতে থাকে। ধ্বংসযজ্ঞের লক্ষ্যবস্তুতে ছিল প্রধানমন্ত্রী ওলি, তার মন্ত্রী রমেশ লেখক ও প্রিভি সুব্বা গুরুংয়ের বাড়ি, বর্তমান রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পাওডেল, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভন্ডারি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের, প্রচন্ড ও বাবুরাম ভট্টারাই, প্রাক্তন মন্ত্রীগণ গগন থাপা, মহেশ বস্নেট, অর্জুন নরসিং কেসি, মন বাহাদুর বস্নেট এবং অন্যান্য, পাশাপাশি বর্তমান ও পূর্ববর্তী সরকারের উচ্চ কর্মকর্তারা, যাদের মধ্যে বিশ্ব পাওডেল, নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংকের কেন্দ্রীয় অন্তর্ভুক্ত। মৃতের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫০ অতিক্রম করে। যার মধ্যে চারজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং কয়েকজন দোকানপাট লুটকারী। বর্তমানে মৃতের সংখ্যা ৭০-এর উপরে ধরা হয়েছে।
দ্বিতীয় দিনের রাত ১০টায় সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। তিন দিনের মধ্যেই, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশিলা কার্কিকে নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করানো হয়। শপথ নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পাওডেলকে প্রস্তাব দেন বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করার। তিনি তা কার্যকর করেন। তিন দিনের মধ্যেই তিনজন মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেন। কুলমান ঘিসিং, রমেশ্বর খানাল এবং ওম নাথ আর্যাল। এ পর্যন্ত এটাই ঘটেছে। সম্ভবত আরও কিছু মন্ত্রী অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে এবং একটি বৃহত্তর মন্ত্রিপরিষদ গঠন হতে পারে।
এসব ঘটনার কারণে কয়েকটি সাংবিধানিক প্রশ্ন উঠেছে: বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করা কি আইনগতভাবে সঠিক? যখন সংবিধানে এমন কোনো বিধান নেই, তখন প্রধানমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রীরা সংসদের বাইরে থেকে কীভাবে আসতে পারেন? কেবল সংসদই সংবিধান সংশোধন করতে পারে, সেক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনের কথা বলা কি গ্রহণযোগ্য? ৫ মার্চ ২০২৬-এর জন্য ঘোষিত নতুন নির্বাচন কীভাবে বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা, জয়লাভ করা বা সংসদে পুনঃপ্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে পারে? নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কি সংবিধান সংশোধন করতে এবং প্রতিবাদকারীদের দাবি অনুযায়ী সরাসরি নির্বাচিত কার্যনির্বাহীকে দেশের নেতৃত্বে আসতে দিতে প্রস্তুত হবে? জেন জিদের কোনো রাজনৈতিক দল নেই, তারা কীভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে? এরকম আরও অনেক প্রশ্নই এখন দেখা দিয়েছে।
সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবিধান কখনোই স্থির জিনিস নয়। এটি ব্যাখ্যার বিষয়। দ্বিতীয়ত, বিপ্লব থেকে উদ্ভূত জনগণের ম্যান্ডেট লিখিত সংবিধানের সব বিধানের উপরে প্রাধান্য রাখে। সুতরাং, যদি সংবিধানের বিধানগুলো জনগণের নতুন ম্যান্ডেটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তবে বর্তমান সংবিধানের সেই বিধানগুলো অকার্যকর হয়ে যায়।
যাই হোক, যে কোনোভাবেই হোক, নেপালে বড় ধরনের একটা পরিবর্তন এসেছে। নেপালের জেন জি বিপ্লব আন্তর্জাতিকভাবেও বেশ কিছু বার্তা বহন করে। প্রথমত, এটি প্রমাণ করে যে, কোনো শাসনব্যবস্থা যত শক্তিশালী হোক না কেন, যদি তা তার তরুণ জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য না রাখে তা টিকতে পারে না। দ্বিতীয়ত, তরুণরা চাইলে এক বা দুই দিনের মধ্যে একটি শাসনব্যবস্থা উৎখাত করতে পারে; দীর্ঘকাল ধরে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য তাদের দশক ধরে অপেক্ষা করতে হয় না। তৃতীয়ত, পৃথিবীর কোনো সরকারই নিয়ন্ত্রণের নামে তরুণদের তথ্যের অধিকার অস্বীকার করতে পারে না। চতুর্থত, কোনো ব্যক্তি যতই দরিদ্র হোক না কেন- যদি রাজনৈতিক সংযোগ বা রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য না হয়- তবুও সে প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী হওয়ার চিন্তা করতে পারে। যদি তার জনগণের কাছে স্বচ্ছ সুনাম থাকে এবং সে দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা রাখে। শেষপর্যন্ত এটি দেখিয়েছে যে রাজনীতিতে গতকালের নায়করা আজ ধূলিতে পরিণত হতে পারে। আর বাতাসের দিক পরিবর্তন হলে একেবারে সাধারণ ব্যক্তিও হয়ে উঠতে পারে অনন্য সাধারণ।
নেপালের জেন জিদের বিপ্লব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেখিয়েছে, অন্য দেশগুলোর তরুণরাও এ ধরনের আন্দোলনের দিকে ঝুঁকতে পারে। এটা সম্ভবত সব রাষ্ট্রের জন্যই একটা সতর্কবার্তা। তরুণদের আর প্রতারিত করা যাবে না। দুর্নীতি তাদের বিপদ ডেকে আনতে পারে। তরুণরা আর এসব সহ্য করবে না। নেপালের এ শিক্ষা থেকে স্বৈরশাসক হোক আর যে কোনো সরকারই হোক সাবধান হতে হবে। তাদের শাসনব্যবস্থার অসঙ্গতিগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। না-হয় জেন জিদের ঝড়ো হাওয়া তাদের যে কোনো মুহূর্তে উড়িয়ে চিরতরে দিতে পারে। এটা বিভিন্ন দেশের তরুণদের মধ্যেও বিপুল আত্মবিশ্বাসের জন্ম দিবে। তারা আরও বড় সংখ্যায় এগিয়ে আসবে। দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ ও নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তারা দলবেঁধে তৈরি হবে। বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও যে কোনো উদ্যোগ গ্রহণের মতো রাজনীতিও তরুণদের জন্য আজকে এক সম্ভাব্য দ্বার খুলে দিয়েছে। এটা সারা বিশ্বের তরুণদেরই উদ্বুদ্ধ করবে।
মহেশ পৌদ্যাল: কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। খ্যাতিমান লেখক ও সামাজিক বিশ্লেষক।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে