চীন-ভারত সম্পর্কের উন্নয়নে বন্ধুত্বই সঠিক পথ: শি জিনপিং
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জোর দিয়ে বলেছেন, ভারত ও চীনের সম্পর্ক উন্নয়নে বন্ধুত্বই সঠিক পথ। সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চীনে স্বাগত জানিয়ে ভারত ও চীনকে প্রাচীন সভ্যতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি।
গ্লোবাল সাউথের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দেশ দুটির যৌথ দায়িত্ব তুলে ধরে শি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ এবং মানব অগ্রগতিকে উৎসাহিত করতে হবে’।
রোববার (৩১ অক্টোবর) সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শি জিনপিং বলেন, ‘সুপ্রতিবেশীসুলভ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা, যেখানে আমরা একে অন্যের সাফল্যকে সমর্থন করি, তা হল সঠিক পথ। ড্রাগন এবং হাতির একসাথে এগিয়ে যাওয়া এই পদ্ধতির প্রতীক’।
বৈঠকে গত বছরের অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে তাদের পূর্ববর্তী বৈঠকের কথা স্মরণ করেন দুই নেতা। সীমান্ত উত্তেজনা হ্রাসের পর দুই এশিয়ান পরাশক্তির পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতা গড়ে তোলার প্রচেষ্টার এই বৈঠকে সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তারা।
কাজানের ওই শেষ বৈঠকের ইতিবাচক ফলাফলকে স্বাগত জানিয়ে নরেন্দ্র মোদী জানান, সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তিনি ঘোষণা দেন, কৈলাস মানস সরোবরে তীর্থযাত্রা এবং দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শিগগিরই ফের শুরু হবে।
চলতি বছর চীন-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে বহুপাক্ষিকতা, বহুমেরু বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে বৃহত্তর গণতন্ত্রকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি কৌশলগত ও দীর্ঘমেয়াদী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পরিচালনার প্রয়োজনীয়তায় জোর দেন চীনের প্রেসিডেন্ট।
অন্যদিকে পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে চীনের সাথে সম্পর্ক জোরদারে ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বলেন, ‘২.৮ বিলিয়ন মানুষের স্বার্থ আমাদের সহযোগিতার সাথে জড়িত, যা বৃহত্তর মানবতার কল্যাণে অবদান রাখবে’।
তিয়ানজিনে দুদিনের এসসিও শীর্ষ সম্মেলন অংশ নিচ্ছেন ২০টিরও বেশি দেশের নেতা এবং ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা। রাষ্ট্রপ্রধানদের ২৫তম বৈঠকে সভাপতিত্ব ও এসসিও প্লাস অধিবেশনে মূল ভাষণ দেবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
চীন-ভারত ছাড়াও এসসিও’র পূর্ণ সদস্যরা হচ্ছে, রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও বেলারুশ। এছাড়া সংসথাটিতে রয়েছে ১৬টি পর্যবেক্ষক ও সংলাপ অংশীদার দেশ।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে