Views Bangladesh Logo

শ্রীলঙ্কায় বসেছে সার্ক হেরিটেজ ফোরামের প্রথম আসর

ক্ষিণ এশিয়ার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচারে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে চলছে ‘প্রথম সার্ক হেরিটেজ ফোরাম’। সার্ক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (এসসিসি) আয়োজিত তিনদিনের এই ফোরামে অংশ নিচ্ছেন দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) আটটি সদস্য দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রত্নতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিশেষজ্ঞসহ ইউনেস্কো ও আন্তর্জাতিক জাদুঘর কাউন্সিলের (আইসিওএম) প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে ফোরামে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান লাল ও অধ্যাপক মাসুদ ইমরান।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কলম্বো জাতীয় জাদুঘরে প্রধান অতিথি হিসেবে ফোরামের উদ্বোধন করেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ড. হারিণী অমরাসুরিয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন দেশটির ধর্ম ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী অধ্যাপক হিনিদুমা সুনীল সেনেভি বুদ্ধ সাসানা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী, পররাষ্ট্রসচিব, ভারতে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার এবং কলম্বোয় নিযুক্ত সার্ক সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত-হাইকমিশনাররা।

‘আঞ্চলিক শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যবাহী স্থান, জাদুঘর ও আর্কাইভের প্রচার’ প্রতিপাদ্যে ফোরামটি চলবে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) পর্যন্ত। বুধবার (১ অক্টোবর) থেকে শেষ দুদিনে কলম্বোর কিংসবেরি হোটেলে হবে কয়েকটি কারিগরি অধিবেশন। সেগুলোতে বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পথ প্রতিষ্ঠা, ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোতে সহজে প্রবেশাধিকার ও যৌথ সাংস্কৃতিক সংরক্ষণে আঞ্চলিক কাঠামো তৈরি এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতার প্রাতিষ্ঠানিক কৌশল শক্তিশালী করায় আলোকপাত করা হবে।

ফোরামটিকে দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক কূটনীতির মাইলফলক বলে বর্ণনা করেছেন এসসিসি’র উপ-পরিচালক (প্রোগ্রাম) অধ্যাপক সিকদার মো. জুলকারনাইন। প্রথম আসরেই সাংস্কৃতিক পর্যটন, গবেষণা ও শিক্ষা বাড়িয়ে দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে ঐতিহ্য সংরক্ষণের স্থায়ী সুবিধা তৈরি করবে বলেও আশাবাদী তিনি।

অধ্যাপক জুলকারনাইন বলেন, ‘সহযোগিতার ব্যবহারিক পথ খুলে দিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আমাদের সমন্বিত ঐতিহ্যকেও রক্ষা করবে ফোরামটি’।

ফোরামটি শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যবাহী স্থান, জাদুঘর ও আর্কাইভের জন্য সার্ক আঞ্চলিক কর্মসূচির ভিত্তিতে তৈরি। এটি গত বছরের অক্টোবরে এসসিসি’র ১৪তম গভর্নিং বোর্ড সভা এবং চলতি বছরের এপ্রিলে কাঠমান্ডুতে সার্ক প্রোগ্রামিং কমিটির ৬০তম অধিবেশনে এটি অনুমোদিত হয়।

ফোরামের মূল উদ্দেশ্যগুলো হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার, বাস্তব নির্দেশিকাসহ সার্ক ঐতিহ্য তালিকা তৈরি, বৌদ্ধ ঐতিহাসিক স্থানগুলো সংযুক্ত সাংস্কৃতিক পথ তৈরি এবং অঞ্চলজুড়ে প্রধান ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলোর প্রবেশাধিকার উন্নত করা।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ