রুমমেটকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালালের জামিন
রুমমেটকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সহ সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী ‘জ্বালাময়ী জালাল’ নামে পরিচিত জালাল আহমেদকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জালাল হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।
শুনানি শেষে রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) পাঁচ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত।
শুনানিতে জালালের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম হিমেল দাবি করেন, তার মক্কেল ঘটনাস্থলে ছিলেন না এবং তাকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি যুক্তি দেন, জালাল আসন্ন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যা ১৯ সেপ্টেম্বর হবে এবং আদালতকে তার শিক্ষাগত দায়িত্ব বিবেচনা করার আহ্বান জানান। জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসরাত জাহান।
জামিনের আদেশে আদালত শর্ত দিয়েছেন, জালালকে তার বিসিএস পরীক্ষার প্রবেশপত্র বা রুটিন জমা দিতে হবে।
জালালের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম পরে বলেন, ‘জালালের জামিননামা দাখিল করেছি। তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই। আশা করছি, শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে কারামুক্ত হবেন তিনি’।
শাহবাগ থানার মামলাটিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ২৬ আগস্ট রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলের রুমে ফেরেন জালাল। এ সময় ঘুমিয়ে ছিলেন তার রুমমেট রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রবিউল হক। জালাল চেয়ার টেনে টেনে ও লাইট জ্বালিয়ে বিরক্ত করলে ঘুম ভেঙে আপত্তি জানান রবিউল। এতে ক্ষিপ্ত জালাল কাঠের চেয়ার দিয়ে তার কপালে আঘাত করেন। এরপর ভাঙা টিউব লাইট দিয়ে আঘাত করলে বুকে ও হাতে আঘাত পান রবিউল।
ঘটনাস্থলে ছুটে এসে অন্য শিক্ষার্থীরা রবিউলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর পরই ঢাবি কর্তৃপক্ষ জালালকে হল থেকে বহিষ্কার ও পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পরদিন হত্যাচেষ্টার মামলাটি করেন মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম। জালালের জামিনের আবেদন প্রাথমিকভাবে খারিজ করে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন আদালত।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে