শিশুদের ইন্টারনেটে নিরাপদ রাখতে সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি

বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ইন্টারনেটের বিশাল জগতে শিশুদের নিরাপদ রাখার জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি।

ভবিষ্যত প্রজন্মকে প্রযুক্তি সর্ম্পকে অন্ধকারে না রেখে ছোটবেলা থেকে স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের প্রযুক্তির ক্ষতিকর বিষয়সমূহ সর্ম্পকে সচেতন করতে হবে।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ময়মনসিংহের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিতে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ (সিসিমপুর) আয়োজিত অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন বক্তারা।

বিটিআরসি'র সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন 'সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটালকরণ' নামক প্রকল্পের অধীন ময়মনসিংহ বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। 

সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান।

এসময় তিনি বলেন, “বিটিআরসির মূল লক্ষ্য সমগ্র দেশব্যাপী টেকসই টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করা। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে কানেক্টিভিটি অপরিহার্য। বিটিআরসির সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের মাধ্যমে দূর্গম অঞ্চলে ডিজিটাল ডিভাইস, ডিজিটাল কনটেন্ট এবং ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।”

বিটিআরসি কর্তৃক এ পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমের ১ লাখের অধিক ক্ষতিকর কনটেন্ট অপসারণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন,  শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতন করতে হলে সর্বপ্রথম শিক্ষকদের সচেতন হতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক ফরিদ আহমেদ বলেন, “শিশুদের শৈশব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এ সময়ে শিশুদের মৌলিক ভিত্তি গড়ে ওঠে। একটি শিশু সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কী কী করবে সে বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে দেশীয় সংস্কৃতিকে বিবেচনায় রাখতে হবে।”

দেশের সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে সিসিমপুর শিশুদের জন্য কনটেন্ট তৈরি করবে। শিক্ষকদের নিরাপদ ইন্টারনেটের বিষয়ে সচেতন করতে ইতোমধ্যে ময়মনসিংহের ১০টি উপজেলার ১০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিটিআরসি’র সহযোগিতায় নিরাপদ ইন্টারনেট কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, বলে জানান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম।

সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ডিরেক্টর আবু সাইফ আনসারীর (প্রোগ্রাম এন্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিটিআরসি’র কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ইন্টারনেট সোসাইটি ফাউন্ডেশন ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।