চীন তাইওয়ান দখল করতে চায় না: ট্রাম্প

চীন সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বেইজিংয়ের আমন্ত্রণে আগামী বছরের শুরুর দিকে এই সফর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সফরের ঘোষণা দিতে গিয়েই ট্রাম্প বলেন, চীন তাইওয়ান দখল করতে চায় না এবং দুই দেশের সম্পর্ক “ভালো থাকবে।”

সোমবার (২০ অক্টোবর) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “আমাকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং আমি আগামী বছরের শুরুতেই সেখানে যাচ্ছি। বিষয়টি মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে।”

তিনি আরও জানান, এ মাসের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার বৈঠক হবে। সেখানে দুই দেশের মধ্যে ‘ন্যায়সঙ্গত’ বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার আশা করছেন তিনি।

সম্প্রতি শুল্ক ইস্যুতে উত্তেজনা তৈরি হলেও ট্রাম্প শান্তির বার্তা দিয়ে বলেন, “দুই দেশকেই একসঙ্গে সমৃদ্ধ হতে হবে।” তিনি চান চীন আবারও মার্কিন সয়াবিন কিনুক, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকরা ক্ষতির মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। তার বক্তব্যের পরই শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে সয়াবিনের দাম এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছে।

তবে ট্রাম্পের এই মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের আগের মূল্যায়নের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ, পেন্টাগন বলেছিল—চীন ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান দখলের পরিকল্পনা করছে।

কিন্তু ট্রাম্প বলেন, “চীন এটা করতে চায় না। তারা জানে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক শক্তি। আমাদের শ্রেষ্ঠত্বের সঙ্গে কেউ খেলতে পারবে না।”

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ‘শ্যাংরি-লা ডায়ালগ’ সম্মেলনে চীনকে “অঞ্চলের জন্য হুমকি” বলে উল্লেখ করেছিলেন। তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেছিল, “তাইওয়ানকে চীনের বিরুদ্ধে কৌশলগত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা বা আগুন নিয়ে খেলা উচিত নয় যুক্তরাষ্ট্রের।”