সম্পাদকীয় মতামত
থুতু ফেলা নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ কেন?
জাতি হিসেবে যে আমরা দিন দিন অধঃপতনের দিকে যাচ্ছি তার সর্বশেষ নজির থুতু ফেলা নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘর্ষ। এই সংঘর্ষে দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন এবং প্রায় ৩০ কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে এমন আরও অনেক ঘটনা দেখা যাচ্ছে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভয়ংকর সংঘর্ষ লেগে যাচ্ছে এবং তাতে করে অনেকের প্রাণহানিও হচ্ছে। লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছেন এই কিছুদিন আগে; কিন্তু সাধারণ জনগণ যা করতে পারে তা কি করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। সমাজের মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সম্মানের চোখে দেখে, সেই সম্মান তারা রাখছে কোথায়?
আলু ব্যবসায়ীদের বাজারজাতকরণে সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন করুন
যে কোনো ব্যবসায়ই একটা মানবসেবা এবং তার সঙ্গে নীতিনৈতিকতা সম্পর্কিত; কিন্তু যুগে যুগে দেশে দেশে দেখা গেছে অতিরিক্ত লাভের আশায় অনেক ব্যবসায়ী অসাধু প্রক্রিয়ার অংশ নেন। আখেরে তারা ক্ষতি করেন নিজেরই। লাভের বদলে তারা লোকসানের মুখ দেখেন। এতে করে তাদের নিজেদেরও যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি ক্ষতি হয় জনসাধারণেরও। কারণ যে কোনো পণ্যের সঙ্গেই একটি জনগোষ্ঠী সম্পর্কিত।
ঢাবি ভাসমান হকারদের বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ নয়
ভাসমান হকারদের ভিড় শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সারা ঢাকা শহরের জন্যই এক করুণ নিয়তি। গ্রামাঞ্চলে উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই বলে অসহায় মানুষগুলো রাজধানীতে এসে ভিড় করেন। যে যা পারেন তাই করে টিকে থাকার চেষ্টা করেন। সহজ পন্থা, কোনো ছোটখাটো ব্যবসা, যাকে আমরা ভাসমান হকার বলেই চিহ্নিত করে থাকি।
মেট্রোরেলের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
বাংলাদেশ এমন এক মৃত্যুফাঁদ যে, কখন কার কীভাবে মৃত্যু হবে কেউ জানে না। একজন পথচারী রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, হঠাৎ তার মাথায় আছড়ে পড়ল ভারী এক বস্তু, যার ফলে তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যু হলো তার। এমন এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেটে স্টেশনের কাছে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনে। মেট্রো লাইনের বিয়ারিং প্যাড (ভারী বস্তু) খুলে পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণহানি ঘটেছে আবুল কালাম নামে এক পথচারীর। ভারী বস্তুটির ওজন ছিল প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি।
গাছের বন্ধু বাদশা মিয়া আমাদের আলোকবর্তিকা হোক
গাছ আমাদের ফুল দেয়, ফল দেয়, অক্সিজেন দেয়, কাঠ দেয়- শুধু দিয়েই যায়, বিনিময় নেয় না কিছুই। গাছের মতোই নিঃস্বার্থ একজন মানুষ বাদশা মিয়া। তিনি গাছের বন্ধু। পেশা দিনমজুরি হলেও নেশা গাছ লাগানো। নিজের টাকায় রাস্তার পাশে, হাটবাজার ও গ্রামের মোড়ে, ঈদগাহ, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে ২০ বছর ধরে গাছের চারা লাগিয়ে চলেছেন তিনি।
মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার উদ্বেগ আমলে নিন
গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই আমরা দেখে আসছি বাংলাদেশে আতঙ্কজনক মাত্রায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। গুম-খুনের পাশাপাশি নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। এমনকি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকার পরও কেবলমাত্র আওয়ামী লীগের সমর্থক বিধায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাকে-তাকে আওয়ামী লীগ ট্যাগ দিয়ে নাজেহাল করা হচ্ছে। পাশাপাশি দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা না হলেও তাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে এবং নতুন করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা রোধে নির্বাচনের আগে যে অল্প সময় রয়েছে, তার মধ্যেই একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।
চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন
পরিবহন খাতে নানারকম চাঁদাবাজির কথা আমরা ইতোপূর্বে শুনেছি; কিন্তু এমন অভিনব খবর শুনিনি যে, বিদেশ থেকে ফোন করে পরিবারের লোকজন কে কোথায় আছে সেই তথ্য দিয়ে, তাদের ক্ষতি করার ভয় দেখিয়ে গাড়ি ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা আদায় করা হয়। দুর্বৃত্তদের অনেকে দেশের বাইরে থেকে ফোন করে চাঁদা দাবি করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে বসে গাড়ি ব্যবসায়ীদের হুমকি দিচ্ছে তারা। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয় ব্যবসায়ী ভাটারা থানায় জিডি করেছেন। যাদের টার্গেট করা হয়েছে তাদের অধিকাংশের শোরুম রাজধানীর প্রগতি সরণি, বারিধারা ও আশপাশ এলাকায়।
নীরব মহামারি থেকে শিশুদের বাঁচান
শীত আসছে। উত্তরে বাতাসের সঙ্গে আসছে এক ভয়াবহ দুঃসংবাদ। কারণ, বাংলাদেশে বাড়ছে বায়ুদূষণ। যার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে শিশুরা। সংবাদমাধ্যম প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডগুলো ইতোমধ্যে ভরে গেছে রোগীতে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই মৌসুমে বায়ুদূষণের মাত্রা আরও বাড়লে তা এক ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকটে রূপ নিতে পারে।
বাজারের অবস্থা দেখে বাড়ানো হোক শিক্ষকদের ভাতা
বাড়ি ভাড়া বাড়ানোসহ তিন দাবিতে টানা আট দিন আন্দোলনের পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া মাত্র ৫ শতাংশ বাড়াতে সম্মত হয়েছে সরকার, যা সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা হারে বাড়বে। তবে সরকারের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে অনশনে থাকা শিক্ষকরা আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ঘোষিত বাড়ি ভাড়া ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি এবং ন্যূনতম মাসিক দুই হাজার টাকা সংযোজনের ফলে অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর বাড়ি ভাড়া বাবদ ভাতা বৃদ্ধি হবে ১২ শতাংশের বেশি। রবিবার ফেসবুকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল পেজে দেওয়া পোস্টের এক ব্যাখ্যায় এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকরা বর্তমানে এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ভাতা পান।
সরকারি তেল আর কতকাল চুরি হবে
বাংলাদেশে সরকারি তেল চুরির ঘটনা সর্বজনবিদিত। বছরের পর বছর ধরে তেল চুরির ঘটনা ঘটলেও সরকারের টনক নড়ে না। তেল চুরির ঘটনা মোটামুটি নিয়মিতই ধরা পড়ে, তদন্ত কমিটিও হয়। তবে চুরি থামে না। এক সময় তেল চুরি হতো ডিপো থেকে, তেলবাহী গাড়ি থেকে; এখন তেল চুরি হয় জাহাজ থেকেও।