পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়নে বিশ্লেষণধর্মী সংবাদের বিকল্প নেই: বিএসইসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে টেকসই ও বিনিয়োগবান্ধব করতে নিরপেক্ষ, সঠিক ও বিশ্লেষণধর্মী সংবাদ অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটির রাঙ্গদ্বীপ রিসোর্টে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘ফরেনসিক অ্যানালাইসিস অব ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্টস’ শীর্ষক রেসিডেন্সিয়াল ট্রেনিং কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এক্সপো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আসাদ চৌধুরী।
কর্মশালা পরিচালনা করেন অ্যাসোসিয়েশন অব সার্টিফায়েড ফ্রড এক্সামিনারস (এসিএফই) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চ্যাপ্টার ডিরেক্টর মোহাম্মদ সেলিম কবির ও সিএফই আরিফ মাহমুদ।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিনিয়োগকারীরা সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমেই প্রথমে তথ্য সংগ্রহ করেন। তাই সাংবাদিকরা সঠিক ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ পরিবেশন করলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ে, বাজার স্থিতিশীল হয় এবং মূলধন গঠনের পথ সুগম হয়।
তিনি আরও বলেন, আর্থিক প্রতিবেদনের ফরেনসিক বিশ্লেষণ শুধু সাংবাদিকদের জন্য নয়; বিনিয়োগকারী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সাধারণ জনগণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত আর্থিক অবস্থা বা সম্ভাব্য অনিয়ম অনেক সময় খালি চোখে ধরা যায় না।
“এই প্রশিক্ষণ সাংবাদিকদের গভীর বিশ্লেষণ করার দক্ষতা দেবে। ফলে সংবাদ হবে আরও প্রমাণনির্ভর, জনস্বার্থে সহায়ক এবং বাজারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় কার্যকর,” যোগ করেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা কেবল তথ্য প্রকাশ নয়; এটি এক ধরনের সামাজিক দায়িত্ব। বাজারে অপ্রমাণিত তথ্য বা গুজব ছড়ালে অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে। তাই প্রতিটি সংবাদ হতে হবে ভারসাম্যপূর্ণ ও গবেষণাধর্মী।
বিএসইসি চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বাজারের 'আয়না' আখ্যা দিয়ে বলেন, “যত বেশি নিরপেক্ষ ও বিশ্লেষণধর্মী সংবাদ পরিবেশন করবেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা তত বাড়বে, বাজার তত শক্তিশালী হবে।”
তিনি আরও জানান, সাংবাদিকদের দক্ষতা ও মানোন্নয়নে বিএসইসি সব সময় সহযোগিতা করছে এবং করবে। “শুধু সাংবাদিকতা পুরস্কার নয়, ফেলোশিপ কর্মসূচিতেও আমরা সিএমজেএফকে যুক্ত করেছি। এতে কেউ কেউ আপত্তি জানালেও আমাদের উদ্দেশ্য একটাই—সাংবাদিকদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা, যাতে তারা উচ্চ মানে পৌঁছাতে পারেন। এতে বিনিয়োগকারীরাও উপকৃত হবেন।”
কর্মশালার প্রশংসা করে তিনি বলেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং তথ্যভিত্তিক বাজার ব্যবস্থা ছাড়া কোনো পুঁজিবাজার টেকসই হতে পারে না।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে