ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে কানাডা
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে কানাডা। গাজায় চলমান মানবিক সংকট এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক চাপের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দেশটি।
বুধবার (৩১ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি জানান, আগামী সেপ্টেম্বরের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে কানাডা এই স্বীকৃতি দিতে পারে।
এ সময় গাজার পরিস্থিতিকে “অসহনীয়” বলে বর্ণনা করে তিনি বলেন, এই স্বীকৃতি কয়েকটি শর্তের ওপর নির্ভর করছে।
মার্ক কার্নি বলেন, “এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মৌলিক সংস্কার, ২০২৬ সালে হামাসকে বাদ দিয়ে সাধারণ নির্বাচন এবং নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি।”
ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স। যুক্তরাজ্যও সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েল যদি নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ না করে তাহলে তারাও স্বীকৃতি দেবে। জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে প্রায় ১৫০টি দেশ ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
সম্প্রতি কানাডার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে। এজন্য কানাডার প্রায় ২০০ জন সাবেক কূটনীতিক ও রাষ্ট্রদূত এক খোলা চিঠিতে সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা পশ্চিমতীর ও গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে কানাডার মূল্যবোধ ও স্বার্থের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন।
এই স্বীকৃতির সম্ভাবনা মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাত সমাধানে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে