ব্যবসা ও বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে বাজেট আশাব্যঞ্জক নয়: ডিসিসিআই
এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ন্যূনতম করের সমন্বয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুমোদন যোগ্য বিয়োজনের আওতা বাড়ানো, করজাল সম্প্রসারণ এবং অটোমেটেড রিটার্ন ব্যবস্থা চালুর মতো ইতিবাচক পদক্ষেপ থাকা সত্ত্বেও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, সহজে ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ উন্নয়ন, সিএমএসএমই এবং ব্যাংকিং খাত সংস্কার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় সার্বিক ব্যবসা ও বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে ততোটা সহায়ক নয় বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই)।
প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬-এ অনেক ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের অনুপস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যিক কার্যক্রম বেশ চাপের মধ্যে থাকার শঙ্কাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়া অনুষ্ঠানে সোমবার (২ জুন) ডিসিসিআই’র সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেন, রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বেশ বড়, যা অর্জন বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। ব্যক্তি পর্যায়ের করের সীমা অপরিবর্তিত রাখা এবং স্ল্যাব উঠিয়ে নেয়ায় মধ্যবিত্ত ও বিশেষ করে চাকরিজীবীদের করের বোঝা আগামী অর্থবছর থেকে আরো বেশি বহন করতে হবে।
অটোমোবাইল খাতে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করায় এ খাতের স্থানীয় উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। টার্নওভার কর ০.৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার সিদ্ধান্তও পুনর্বিবেচনার দাবি জানায় ডিসিসিআই।
ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ কমলেও স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোন উৎপাদনে ভ্যাট বাড়ানোয় এ শিল্পের বিকাশ ব্যাহত হবে বলেও শঙ্কিত তাসকিন আহমেদ।
তিনি বলেন, বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমাতে কিছু উদ্যোগ নেয়া হলেও ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালন ব্যয় বাড়বে, যা সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির গতিকে মন্থর করবে। ব্যাংকখাত থেকে ঋণগ্রহণের খরচ ৬-৭ শতাংশ নামিয়ে আনারও আহ্বান জানান তিনি।
ডিসিসিআই’র সভাপতি বলেন, আর্থিক খাত থেকে সরকারের ঋণগ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা বেশি ধার্য করা হয়েছে। এতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমার শঙ্কা দেখা দিতে পারে।
এসএমই খাতের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ এ বাজেটে পরিলক্ষিত হয়নি বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ছিলেন ডিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহ সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ সভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে