নভেম্বরে টেলিকম অভিযোগ নিয়ে গণশুনানি করবে বিটিআরসি
আগামী নভেম্বরে টেলিকম সেবা-সংক্রান্ত অভিযোগ ও মতামত শুনতে গণশুনানি আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নাগরিকরা সরাসরি উপস্থিত থেকে অথবা অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রশ্ন ও অভিযোগ জানাতে পারবেন। গুরুত্বের ভিত্তিতে এসব প্রশ্ন বাছাই করে উত্তর দেয়া হবে।
বিটিআরসির মতে, এ ধরনের গণশুনানি গ্রাহক ও সেবাদাতাদের মধ্যে সরাসরি সংলাপের সুযোগ তৈরি করে এবং সেবার মান উন্নয়নে কার্যকর সুপারিশ তৈরিতে সহায়তা করে।
২০১৬ সাল থেকে বিটিআরসি মোট পাঁচটি গণশুনানি আয়োজন করেছে। প্রথমটি অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর ঢাকার বিটিআরসি অডিটোরিয়ামে, যেখানে কলড্রপ, ধীরগতির ইন্টারনেট ও বায়োমেট্রিক নিবন্ধন-সংক্রান্ত ১ হাজার ৫০টি অভিযোগ ওঠে। দ্বিতীয় শুনানি হয় ২০১৯ সালের ১২ জুন আইইবি ভবনে, যেখানে শতাধিক অভিযোগের মধ্যে কলড্রপ ও ইন্টারনেট সেবার মান ছিল প্রধান বিষয়।
কভিড-১৯ মহামারির সময়ে ২০২১ সালের ২২ আগস্ট অনলাইনে অনুষ্ঠিত শুনানিতে রেকর্ড ২৩ হাজার ১৬টি অভিযোগ জমা পড়ে। ফেসবুক লাইভে শতাধিক নাগরিক অংশ নেন শুনানিতে। সেখানে নেটওয়ার্ক কাভারেজ, ইন্টারনেটের গতি ও ডেটা চার্জ ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
এরপর ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম হোটেলে অনুষ্ঠিত শুনানিতে ৮৪৮টি অভিযোগ পাওয়া যায়, যার মধ্যে কলড্রপ, ফোরজি কাভারেজ ও রেডিয়েশন নিয়ে উদ্বেগ বেশি ছিল। সর্বশেষ শুনানি হয় ২০২৪ সালের ৮ মে ঢাকায় বিটিআরসি কার্যালয়ে, যেখানে কলড্রপ, ইন্টারনেটের গতি, অপারেটর সেবা ও জরুরি রিচার্জ সমস্যাসহ ৩ হাজার ২৫টি অভিযোগ জমা পড়ে।
পূর্ববর্তী শুনানিগুলোতে নাগরিকদের বারবার অভিযোগ উঠে এসেছে- দুর্বল নেটওয়ার্ক কাভারেজ, কলড্রপ, চলতি পথে মহাসড়ক ও ট্রেনে সংযোগ না থাকা, মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সমস্যা, নির্দিষ্ট এলাকায় ব্রডব্যান্ড সীমাবদ্ধতা, ইন্টারনেট খরচ বৃদ্ধি, অতিরিক্ত কল চার্জ, ধীরগতির ইন্টারনেট এবং মোবাইল অ্যাকাউন্ট থেকে অননুমোদিত টাকা কর্তনের বিষয়ে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে