Views Bangladesh Logo

নকিয়ার সঙ্গে বিপিসিএস কনসোর্টিয়ামের এসএলটিই সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষর

Press Release

প্রেস রিলিজ

বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে নকিয়ার সঙ্গে সাবমেরিন লাইন টার্মিনাল ইকুইপমেন্ট (এসএলটিই) সরবরাহের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্যাবল সিস্টেম (বিপিসিএস) কনসোর্টিয়াম। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়।

চুক্তিতে বিপিসিএস কনসোর্টিয়ামের পক্ষে স্বাক্ষর করেন মেটাকোর সাবকম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী আমিনুল হাকিম, সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আরিফ আল ইসলাম এবং সিডিনেট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মো. মশিউর রহমান। নকিয়ার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন নকিয়া ইন্ডিয়ার হেড অব সেলস ইউনিট প্রশান্ত মালকানি এবং নকিয়ার সিনিয়র সেলস অ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর সুমন প্রাসাদ।

অনুষ্ঠানে নকিয়ার পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন হেড অব এমার্জিং বিজনেস জিবিতেশ নায়াল, মার্কেটিং ম্যানেজার রাহুল দেরওয়ানি, অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ আর. ইসলাম এবং নকিয়া বাংলাদেশের হেড অব সেলস ক্রিস্টোফার স্যামুয়েল। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, ভারতে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের কূটনীতিক আনত্তি হেরলেভি, জাপান দূতাবাসের প্রতিনিধি ডাইসুকি সুকাও ও ম্যামি কোবাইশি।

বিপিসিএস কনসোর্টিয়ামের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে দেশে ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার জিবিপিএস। ২০২৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই চাহিদা বেড়ে আনুমানিক ২০ হাজার জিবিপিএসে পৌঁছাবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা প্রায় ৫০ হাজার জিবিপিএসে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই বাড়তি চাহিদা পূরণে বেসরকারি খাতের উদ্যোগে তিনটি সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন জরুরি হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে উদ্যোক্তারা প্রায় ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। আগামী ২০২৬ সালের জুনের পর আরও প্রায় ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন পেয়ার ক্যাবল চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

কনসোর্টিয়াম সূত্র জানায়, বর্তমানে আন্তর্জাতিক টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবলের (আইটিসি) মাধ্যমে ভারত থেকে দেশের মোট ব্যান্ডউইথের ৬০ শতাংশের বেশি আসে, যার ফলে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বাইরে চলে যাচ্ছে। সিঙ্গাপুর–কক্সবাজার রুটে নতুন তিন পেয়ার সাবমেরিন ক্যাবল চালু হলে ভারতের ওপর নির্ভরতা কমবে এবং বাংলাদেশ ব্যান্ডউইথে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে এগিয়ে যাবে।

নকিয়ার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কম বিদ্যুৎ খরচে ও কম জায়গায় ইকুইপমেন্ট স্থাপন সম্ভব হবে, যা ডেটা সেন্টারের স্থান ও পরিচালন ব্যয় কমাতে সহায়ক হবে। এতে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা সহজ হবে এবং সার্বিক ব্যয় হ্রাস পাবে। এর ফলে ভবিষ্যতে ব্যান্ডউইথের দাম কমে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ক্যাবলের উভয় প্রান্তে নকিয়ার এসএলটিই ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নতমানের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ