ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় ৬৮ অভিবাসীর মৃত্যু
ইয়েমেনের আবিয়ান প্রদেশে একটি নৌকাডুবির ঘটনায় কমপক্ষে ৬৮ জন আফ্রিকান অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো ৭০ জনেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছেন। তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলমান রয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর ইয়েমেন কার্যালয়ের প্রধান আবদুসাত্তার এসোয়েভ বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে ১৫৪ জন ইথিওপিয়ান নাগরিক ছিলেন। এটি প্রদেশটির খানফার জেলার উপকূলের কাছে ডুবে যায়।
দুর্ঘটনার পর এখন পর্যন্ত সমুদ্র থেকে ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া খানফার উপকূলে ভেসে আসা ৫৪টি মরদেহ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। আশপাশের এলাকা থেকে আরও ১৪ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। পরে তাদের মরদেহ স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আফ্রিকার শিং অঞ্চল থেকে ইয়েমেন হয়ে উপসাগরীয় দেশগুলোতে পৌঁছানোর জন্য প্রায়ই এই বিপজ্জনক সমুদ্রপথ ব্যবহার করে অনেক অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীরা, যেটি বিশ্বের সবচেয়ে বিপদজনক অভিবাসন পথগুলোর একটি।
২০১৪ সালে শুরু হওয়া ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ এ অঞ্চল দিয়ে অভিবাসীদের পাড়ি দেয়ার হারকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে হুথি বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও দেশটির মানবিক পরিস্থিতি এখনো ভঙ্গুর।
উল্লেখ্য, সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার মতো সংঘাতপূর্ণ দেশের অভিবাসীরা নিরাপত্তা বা উন্নত জীবনের আশায় প্রায়ই ইয়েমেনকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করে। আইওএম লোহিত সাগর পাড়ি দেয়ার পথটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত এবং বিপজ্জনক পথগুলোর একটি হিসেবে উল্লেখ করেছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে