Views Bangladesh Logo
author image

মাহমুদ হোসেন

  • থেকে

বুয়েটের একজন স্নাতক, বাংলাদেশের টেলিকম ও আইসিটি খাতে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশের মোবাইল প্রযুক্তি প্রচলনের সময়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বিটিআরসি’র কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, এর আগে তিনি বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন পদে কর্মরত ছিলেন।
শত্রুর শত্রুই মিত্র: কোরিয়ার উত্থান
শত্রুর শত্রুই মিত্র: কোরিয়ার উত্থান

শত্রুর শত্রুই মিত্র: কোরিয়ার উত্থান

লি বিয়ং-চুল ছিলেন এক জন্মগত ব্যবসায়ী। তার হাতে যেন জাদু ছিল- তিনি যে ব্যবসায় হাত দিতেন তাতেই সফল হতেন। ১৯৩৮ সালে যখন চারদিকে যুদ্ধের দামামা বাজছে, কোরিয়া জাপানের শাসন থেকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছে, তখন তিনি শুরু করলেন তার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।

ভয়ই যেখানে প্রেরণা: যেভাবে ঘুরে দাঁড়াল ইন্টেল
ভয়ই যেখানে প্রেরণা: যেভাবে ঘুরে দাঁড়াল ইন্টেল

ভয়ই যেখানে প্রেরণা: যেভাবে ঘুরে দাঁড়াল ইন্টেল

ইন্টেলের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ডি গ্রোভ ছিলেন এক তেজি মানুষ। তার জীবন ছিল এক কঠোর লড়াইয়ের গল্প। তিনি ছিলেন হাঙ্গেরির এক শরণার্থী, যিনি সোভিয়েত ও নাৎসিদের হাত থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। ভয় আর শৃঙ্খলাই ছিল ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে তার মূলমন্ত্র। তার বিখ্যাত বই ‘অনলি দ্য প্যারানয়েড সারভাইভ’-এ তিনি লিখেছেন: প্রতিযোগিতার ভয়, দেউলিয়া হওয়ার ভয়, আর ব্যর্থ হওয়ার ভয়- এসবই মানুষকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এক শক্তিশালী প্রেরণা জোগায়।

আশির দশকের ক্রুড অয়েল যুদ্ধ
আশির দশকের ক্রুড অয়েল যুদ্ধ

আশির দশকের ক্রুড অয়েল যুদ্ধ

পালো আল্টোর (ক্যালিফোর্নিয়ার একটি শহর) এক হিমেল সন্ধ্যায় মিংস চাইনিজ রেস্টুরেন্টের উষ্ণ পরিবেশে সমবেত হয়েছিলেন মার্কিন চিপশিল্পের তিন কিংবদন্তি- বব নয়েস, জেরি স্যান্ডার্স এবং চার্লি স্পর্ক। এক সময় ফেয়ারচাইল্ড সেমিকন্ডাক্টরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলেও, পরবর্তীতে তারা নিজেদের কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হিসেবে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন; কিন্তু সেদিন সন্ধ্যায় তাদের সামনে ছিল এক অভিন্ন, বিশাল চ্যালেঞ্জ: জাপানের অপ্রতিরোধ্য উত্থান। তাই তারা একমত হলেন যে, সরকারের প্রতি আর উদাসীন থাকা যাবে না; এবার তাদের সরকারের দ্বারস্থ হতেই হবে।

জাপানের সঙ্গে সেমিকন্ডাক্টর যুদ্ধ: সিলিকন ভ্যালির কঠিন লড়াই
জাপানের সঙ্গে সেমিকন্ডাক্টর যুদ্ধ: সিলিকন ভ্যালির কঠিন লড়াই

জাপানের সঙ্গে সেমিকন্ডাক্টর যুদ্ধ: সিলিকন ভ্যালির কঠিন লড়াই

এএমডির সিইও জেরি স্যান্ডার্স চিপ ব্যবসায় প্রবেশ করেছিলেন এক যুদ্ধংদেহি মনোভাব নিয়ে, বিশেষ করে তার পুরোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টেলের বিরুদ্ধে; কিন্তু ১৯৮০-এর দশকে ইন্টেল নয়, জাপানই হয়ে উঠেছিল তার নতুন, আরও ভয়ংকর প্রতিদ্বন্দ্বী।

সিলিকন ভ্যালির সংকট: জাপানের উত্থান ও আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা
সিলিকন ভ্যালির সংকট: জাপানের উত্থান ও আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা

সিলিকন ভ্যালির সংকট: জাপানের উত্থান ও আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা

আশির দশক। আমেরিকার সেমিকন্ডাক্টর শিল্প যা একসময় সিলিকন ভ্যালির অহংকার ছিল, হঠাৎ করেই এক তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়ল। জাপানি কোম্পানিগুলো যেন অপ্রতিরোধ্য এক ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ছিল। এই গল্পের এক নীরব কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নায়ক ছিলেন হিউলেট-প্যাকার্ড (এইচপি)-এর নির্বাহী রিচার্ড অ্যান্ডারসন। এইচপির জন্য কোন মেমরি চিপ কেনা হবে তার কঠিন মানদণ্ড তিনিই ঠিক করতেন। তাই, সেমিকন্ডাক্টর বিক্রেতাদের ভাগ্য অনেকটাই তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করত।

ইন্টেলের বিপ্লবীরা: সিলিকনের এক নতুন যুগ
ইন্টেলের বিপ্লবীরা: সিলিকনের এক নতুন যুগ

ইন্টেলের বিপ্লবীরা: সিলিকনের এক নতুন যুগ

১৯৬৮ সাল, বিশ্ব তখন বার্কলির ছাত্র আন্দোলন আর বেইজিংয়ের কমিউনিস্ট উত্তালতায় কাঁপছে। এরই মধ্যে ‘প্যালো অল্টো টাইমস’ একটি ছোট্ট অথচ যুগান্তকারী খবর ছাপে, যার শিরোনাম ছিল: ‘ফেয়ারচাইল্ড ছাড়লেন প্রতিষ্ঠাতারা; গড়ছেন নিজেদের ইলেকট্রনিকস কোম্পানি।’ বব নয়েস ও গর্ডন মুর, ফেয়ারচাইল্ডের করপোরেট হস্তক্ষেপে বিরক্ত আর সীমিত স্টক অপশনে অসন্তুষ্ট হয়ে নতুন কিছু গড়ার সিদ্ধান্ত নেন।