Views Bangladesh Logo
author image

শাহাদাত হোসেন তৌহিদ

  • অ্যাডিটরিয়াল অ্যাসিসট্যান্ট

  • থেকে

শাহাদাত হোসেন তৌহিদ: অ্যাডিটরিয়াল অ্যাসিসট্যান্ট
আড্ডাবাজ কবি শহীদ কাদরী ও তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা
আড্ডাবাজ কবি শহীদ কাদরী ও তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা

আড্ডাবাজ কবি শহীদ কাদরী ও তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা

যদি বলা হয়, বাংলা সাহিত্যের তুমুল আড্ডাবাজ কবি কে? উত্তরে যাদের নাম সবার আগে আসবে তাদের মধ্যে অন্যতম কবি শহীদ কাদরী। একটা সময় শহীদ কাদরী ছিলেন জলজ্যান্ত এক আড্ডার নাম। তার সম্পর্কে বলা হয়, তিনি ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গেও আড্ডা দিতে পারেন। কবি নিজেই বলতেন, আমি হচ্ছি ইমিগ্র্যান্ট আড্ডাবাজ। আড্ডার নেতৃত্ব দিতেন নিজেই। কোথায় ছিল না আড্ডা- বিউটি বোর্ডিং, রেক্স রেস্তোরাঁ, কথাশিল্পী রশীদ করীমের বাড়ি, কবি শামসুর রাহমানের বাড়ি, শিক্ষাবিদ ফজল শাহাবুদ্দিনের অফিস, সন্ধানী পত্রিকা আর পুরানা পল্টন সর্বত্রই। আড্ডা হতো নিয়মিত।

বর্ণমালার শরীরে প্রতিরোধের আগুন জ্বালানো কবি
বর্ণমালার শরীরে প্রতিরোধের আগুন জ্বালানো কবি

বর্ণমালার শরীরে প্রতিরোধের আগুন জ্বালানো কবি

আমাদের জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে শ্রেষ্ঠ অর্জন আর কিছুই নেই। স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রচিত হয়েছে অসংখ্য কবিতা। স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমকে দুর্দান্ত ও নান্দনিকরূপে কবিতায় ফুটে তুলে দেখিয়ে দিয়েছিলেন কবি শামসুর রাহমান। যেসব কবিতার অবস্থান মানুষের মুখে মুখে, স্লোগানে, প্ল্যাকার্ডে, দেয়াল লিখনে, ব্যানারে, ফেস্টুনে। যেমন ‘স্বাধীনতা তুমি/রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান।’ অথবা ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা/ তোমাকে পাওয়ার জন্যে/আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়?/আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন?/তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা, সাকিনা বিবির কপাল ভাঙলো/সিঁথির সিঁদুর গেল হরিদাসীর’ কিংবা ‘বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা’ কবিতাগুলো উচ্চারণ করলে বোঝা যায়, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা-আবেগ কতটা গভীর কবি শামসুর রাহমানের। সেসবের রূপ কবি দিয়েছেন তার কবিতায়।

শুভ জন্মদিন ‘এশিয়ার কণ্ঠস্বর’ এস এম সুলতান
শুভ জন্মদিন ‘এশিয়ার কণ্ঠস্বর’ এস এম সুলতান

শুভ জন্মদিন ‘এশিয়ার কণ্ঠস্বর’ এস এম সুলতান

আমাদের শিল্প সাহিত্য জগতের অনন্য নাম এস এম সুলতান। সুলতান ছিলেন আক্ষরিক অর্থেই মাটির মানুষ। তার সম্পর্কে প্রচলিত রয়েছে, কখনো কখনো কাউকে কিছু না বলে হারিয়ে যেতেন। বোহেমিয়ান। বন্য পশু ও বিরল প্রজাতির বিষধর সাপের সঙ্গে বসবাস করতেন নড়াইলে তার বাড়িতে। সেটি ছিল নড়াইল জমিদারদের ফেলে যাওয়া এক অন্ধকার পোড়োবাড়ি। চিত্রা নদীর পাড়ে ঝোপজঙ্গল আর শ্যাওলা বাড়িটিকে ঘিরে রাখত। আগে থেকেই বিষধর সাপ বসবাস করত।

শ্রাবণের বর্ষণে ডুব দিলেন কবিগুরু
শ্রাবণের বর্ষণে ডুব দিলেন কবিগুরু

শ্রাবণের বর্ষণে ডুব দিলেন কবিগুরু

বর্ষা ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রিয় ঋতু। এমনি এক বর্ষায় ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ আজকের এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর পৈতৃক বাড়িতে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চিরবিদায় নেন বাঙালি মনন-সৃজনের অসাধারণ প্রতিভা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

বুদ্ধিজীবীদের মুখোশ উন্মোচন করেছিলেন আহমদ ছফা
বুদ্ধিজীবীদের মুখোশ উন্মোচন করেছিলেন আহমদ ছফা

বুদ্ধিজীবীদের মুখোশ উন্মোচন করেছিলেন আহমদ ছফা

‘বাঙালি মুসলমান সমাজ স্বাধীন চিন্তাকেই সবচেয়ে ভয় করে’ মন্তব্যটি লেখক আহমদ ছফার। মন্তব্যটি করেছিলেন তার লেখা ‘বাঙালি মুসলমানের মন’ প্রবন্ধে। প্রবন্ধটির পটভূমি ব্যাখ্যা করে তারই শিষ্য লেখক-অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছিলেন, ‘বাঙালি মুসলমান আসলে কোনো জাতিগোষ্ঠী নয়। এটি একটি বিশেষ শ্রেণির নাম, যারা মুসলমান ও বাংলায় কথা বলেন এবং এ নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগেন। বাঙালি ও মুসলিম জনগোষ্ঠীর শোষিত শ্রেণির একটি বিশেষ অংশ, যাদের হীনম্মন্যতার অবসান হয়নি, তারাই এই বাঙালি মুসলমান। সময় বদলালেও এই হীনম্মন্যতার সংকটের অবসান হয়নি। এর কারণেই সব স্তরে বাংলা ভাষার দুরবস্থা এখনও কাটেনি।’

‘প্রতিটা মিনিট এই পৃথিবীকে উপহার দাও, বড় কিছু দিয়ে’
‘প্রতিটা মিনিট এই পৃথিবীকে উপহার দাও, বড় কিছু দিয়ে’

‘প্রতিটা মিনিট এই পৃথিবীকে উপহার দাও, বড় কিছু দিয়ে’

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ নামটি উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সামনে ভেসে ওঠে একজন শিক্ষক, কবি, কথাসাহিত্যিক, সংগঠক, পরিবেশ আন্দোলন কর্মী, টেলিভিশন ব্যক্তিত্বের অবয়ব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবে তার অনেক বক্তব্য ভাইরাল হয়, যে বক্তব্যগুলো অসাধারণ শিক্ষামূলক ও জ্ঞানগম্ভীর। বিজ্ঞান, সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা, শিক্ষকতা, রাজনীতি, অর্থনীতি, সংগঠনসহ জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় যার কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতে বাধ্য করে শ্রোতাকে। তিনি যখন কথা বলেন, সবাই তার কথা মুগ্ধ হয়ে শোনেন।

...