Views Bangladesh Logo
author image

ফেরদাউস আরা বেগম

  • অর্থনীতিবিদ ও প্রধান নির্বাহী, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড)

  • থেকে

ফেরদাউস আরা বেগম: অর্থনীতিবিদ ও প্রধান নির্বাহী, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড)
আর্থিক শৃঙ্খলা ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সংস্কারের উদ্যোগ
আর্থিক শৃঙ্খলা ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সংস্কারের উদ্যোগ

আর্থিক শৃঙ্খলা ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সংস্কারের উদ্যোগ

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতির ঘোষণা উপলক্ষে সম্প্রতি একটি পরামর্শ সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক । আসন্ন মুদ্রানীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয় এই সভায়। দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ নীতিগত সুদের হার বহাল থাকা, বেসরকারি খাতে বিশেষ করে CMSME খাতের জন্য ঋণ সুবিধা সংকুচিত হয়ে যাওয়া, উচ্চ পরিমাণে অক্ষম ঋণ (NPL), বিনিয়োগে স্থবিরতা, নতুন বিনিয়োগে ‘অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণ’ প্রবণতা এবং বিদ্যমান বিনিয়োগ ইত্যাদি বিষয় ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এই আলোচনা সভায়।

মাইলস্টোন দুর্ঘটনার মতো ঘটনা আর যেন না ঘটে, তার ব্যবস্থা করুন
মাইলস্টোন দুর্ঘটনার মতো ঘটনা আর যেন না ঘটে, তার ব্যবস্থা করুন

মাইলস্টোন দুর্ঘটনার মতো ঘটনা আর যেন না ঘটে, তার ব্যবস্থা করুন

দেশজুড়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় হতভম্ব এবং শিউরে উঠেছে যে, তাদের সন্তানরা স্কুলে এবং কলেজে কতখানি ঝুঁকিমুক্ত এবং সুরক্ষিত। দুর্ঘটনার ব্যাপ্তি এবং সীমা দেখে বলাই বাহুল্য- দেশের জননিরাপত্তা একেবারেই সুরক্ষিত নয়, এ ঘটনাই তার বাস্তব প্রমাণ। আর আধাঘণ্টা পর ঘটনাটি ঘটলেও হয়ত অনেক শিশু এবং কিশোর বেঁচে যেত; কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস যখন আর মাত্র কিছু সময় পড়ে তারা মা-বাবা বা কোনো গুরুজনের কোলে চড়ে গল্প করতে করতে বাড়ির দিকে রওয়ানা হবে, তার মাত্র কিছু সময় আগে অর্থাৎ যখন শিক্ষকরা তাদের নিত্যদিনের মতো লাইনে দাঁড় করিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে বাড়ি ফেরার জন্য তৈরি করছিল, তখনই এরকম স্মরণকালের একটি অতীব দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেল।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে প্রভাব ফেলবে
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে প্রভাব ফেলবে

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে প্রভাব ফেলবে

২০২৫ সালের ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০৮টি দেশের ওপর ১১ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত পারস্পরিক শুল্ক (Reciprocal Tariff) আরোপের ঘোষণা দেন। এটি বিশ্বের সব দেশের জন্যই এক ধরনের ধাক্কা হিসেবে এসেছে তা দেশটির বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ যতই হোক না কেন কিংবা সেই দেশের অর্থনীতির আকার যত বড় বা ছোট হোক না কেন। এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৯১৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মোট রপ্তানি ছিল ৩ দশমিক ১২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আমদানি ছিল ৪ দশমিক ১১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই সেবা খাতে কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে। প্রমাণস্বরূপ ২০২৪ সালে সেবা রপ্তানি ছিল ১ দশমিক ১৫ ট্রিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ছিল শূন্য দশমিক ৮৪১ ট্রিলিয়ন ডলার। তবে যুক্তরাষ্ট্র কোথাও সেবা খাতকে উল্লেখ করেনি অথচ বিশ্বব্যাপী সেবা রপ্তানি দ্রুত বাড়ছে এবং ভবিষ্যতের বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বাজেটে এসএমই উদ্যোগ প্রসারের গ্রহণযোগ্যতা আরও বেশি হতে পারত
বাজেটে এসএমই উদ্যোগ প্রসারের গ্রহণযোগ্যতা আরও বেশি হতে পারত

বাজেটে এসএমই উদ্যোগ প্রসারের গ্রহণযোগ্যতা আরও বেশি হতে পারত

২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপিতে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রায় ১২ শতাংশ অবদান রেখেছে এবং এ ক্ষেত্রে আগামী তিন বছরে ১৫ হাজার নতুন উদ্যোক্তা তৈরির কথা বাজেটে বলা হয়েছে। এসএমই এবং মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ বিতরণ সুবিধা বাড়ানো এবং তাদের জন্য ডাটাবেজ, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির কথাও বলা হয়েছে। কর প্রস্তাবের ক্ষেত্রে বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়ের কথা বললেও বাস্তবে তা দেখা যায়নি।

বাজেট ২০২৫-২৬: বেসরকারি বিনিয়োগের স্থায়িত্ব নিয়ে কিছু প্রশ্ন
বাজেট ২০২৫-২৬: বেসরকারি বিনিয়োগের স্থায়িত্ব নিয়ে কিছু প্রশ্ন

বাজেট ২০২৫-২৬: বেসরকারি বিনিয়োগের স্থায়িত্ব নিয়ে কিছু প্রশ্ন

জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং ৮ শতাংশ হারে নিম্ন মুদ্রাস্ফীতি অর্জনের লক্ষ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত সংকুচিত বাজেট প্রায় ৭ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন টাকা প্রণয়ন করা হয়েছে। ২৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বিবেচনায় নিয়ে একটি ভাসমান বিনিময় হার ঘোষণা করা হয়েছে। এবারের বাজেটে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, কোনো কোনো পণ্যে বিদ্যমান ভ্যাট কিছুটা কমিয়ে ২০৩০ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, যা ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বর্তমানে এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের কালপর্বে রয়েছে। যদিও বাংলাদেশ কৃষিতে প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাচ্ছে (৩ দশমিক ৩০ থেকে ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ), বিনিয়োগ-জিডিপি অনুপাত কমে এসেছে (২৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ), টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক শুল্ক নীতি আরোপের আশঙ্কার কারণেও প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেতে পারে। তা ছাড়া প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাধার জন্যও দেশটির অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা আছে।

বাণিজ্য সম্প্রসারণের নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে
বাণিজ্য সম্প্রসারণের নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে

বাণিজ্য সম্প্রসারণের নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে

পৃথিবীর ১৫০টি দেশের মধ্যে চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশ চীন থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কাঁচামাল আমদানি করে। ২০০২ সালে এই আমদানির পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ, বর্তমানে তা প্রায় ২৬.৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। চীন থেকে আমদানি করা কাঁচামাল আমাদের রপ্তানি ও অন্যান্য শিল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে। শুধু কাঁচামাল নয়, আমরা চীন থেকে প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতিও আমদানি করি। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের নৈকট্য সম্পর্ক এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে তুলনামূলক ক্রয়মূল্য কম পাওয়ায় দেশটি বাংলাদেশের জন্য অন্যতম কেন্দ্রীয় বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।