Views Bangladesh Logo
author image

ফেরদাউস আরা বেগম

  • অর্থনীতিবিদ ও প্রধান নির্বাহী, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড)

  • থেকে

ফেরদাউস আরা বেগম: অর্থনীতিবিদ ও প্রধান নির্বাহী, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড)
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগী হতে রপ্তানি আয় দ্রুত প্রত্যাবাসন দরকার
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগী হতে রপ্তানি আয় দ্রুত প্রত্যাবাসন দরকার

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগী হতে রপ্তানি আয় দ্রুত প্রত্যাবাসন দরকার

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আইটি এবং বিটুসি ই-কমার্স বিজনেসের সঙ্গে জড়িত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা কত রয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে এ ধরনের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সংখ্যা বাড়ছে এবং তা আরও বাড়তে পারে সঠিক নীতিমালা থাকলে এ খাত থেকে রপ্তানি এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণ সম্ভব। এরা মূলত বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং এফ কমার্স ব্যবহার করে ক্ষুদ্র ব্যবসায় পরিচালনা করে।

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের পদযাত্রায় বাংলাদেশের ওষুধ খাতে নীতিমালা প্রণয়ন ও সক্ষমতা জোরদার জরুরি
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের পদযাত্রায় বাংলাদেশের ওষুধ খাতে নীতিমালা প্রণয়ন ও সক্ষমতা জোরদার জরুরি

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের পদযাত্রায় বাংলাদেশের ওষুধ খাতে নীতিমালা প্রণয়ন ও সক্ষমতা জোরদার জরুরি

বাংলাদেশের ওষুধ খাত আমাদের অন্যতম গর্ব। এ খাত দেশের প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধের চাহিদা পূরণ করে, ফলে প্রতি বছর ৭-৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের ওষুধ বাজার ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বর্তমানে খাতটি জিডিপির প্রায় ১.৮৩ শতাংশ অবদান রাখছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এ খাতে প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করা যাচ্ছে। তবে এই খাতটি এখনো ব্যাপকভাবে আমদানিনির্ভর। প্রতি বছর প্রায় ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয় অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) আমদানিতে। দেশের তৈরি ওষুধ এখন ১৫০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে, যার পরিমাণ প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সঙ্গে এ খাত দেশজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া তরুণদের জন্য বিপুলসংখ্যক অফিসভিত্তিক চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

ইইউ বাজারে ইএসপিআরের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি প্রয়োজন
ইইউ বাজারে ইএসপিআরের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি প্রয়োজন

ইইউ বাজারে ইএসপিআরের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি প্রয়োজন

২০২৪ সালের জুলাই থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইকো-ডিজাইন ও টেকসই পণ্যবিধি (ইএসআর) কার্যকর হয়েছে। সমষ্টিগত উদ্যোগের অংশ হিসেবে এটি গৃহীত পদক্ষেপসমূহের একটি অংশ। পরিবেশ ও জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি সার্কুলারিটি এবং জ্বালানি দক্ষতার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ইইউ। তাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যেই এটি অর্জিত হবে। নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে অবশ্য এই বিধি ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হবে। যেমন বস্ত্রশিল্প ও ইস্পাত শিল্প।

আর্থিক শৃঙ্খলা ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সংস্কারের উদ্যোগ
আর্থিক শৃঙ্খলা ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সংস্কারের উদ্যোগ

আর্থিক শৃঙ্খলা ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সংস্কারের উদ্যোগ

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতির ঘোষণা উপলক্ষে সম্প্রতি একটি পরামর্শ সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক । আসন্ন মুদ্রানীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয় এই সভায়। দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ নীতিগত সুদের হার বহাল থাকা, বেসরকারি খাতে বিশেষ করে CMSME খাতের জন্য ঋণ সুবিধা সংকুচিত হয়ে যাওয়া, উচ্চ পরিমাণে অক্ষম ঋণ (NPL), বিনিয়োগে স্থবিরতা, নতুন বিনিয়োগে ‘অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণ’ প্রবণতা এবং বিদ্যমান বিনিয়োগ ইত্যাদি বিষয় ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এই আলোচনা সভায়।

মাইলস্টোন দুর্ঘটনার মতো ঘটনা আর যেন না ঘটে, তার ব্যবস্থা করুন
মাইলস্টোন দুর্ঘটনার মতো ঘটনা আর যেন না ঘটে, তার ব্যবস্থা করুন

মাইলস্টোন দুর্ঘটনার মতো ঘটনা আর যেন না ঘটে, তার ব্যবস্থা করুন

দেশজুড়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় হতভম্ব এবং শিউরে উঠেছে যে, তাদের সন্তানরা স্কুলে এবং কলেজে কতখানি ঝুঁকিমুক্ত এবং সুরক্ষিত। দুর্ঘটনার ব্যাপ্তি এবং সীমা দেখে বলাই বাহুল্য- দেশের জননিরাপত্তা একেবারেই সুরক্ষিত নয়, এ ঘটনাই তার বাস্তব প্রমাণ। আর আধাঘণ্টা পর ঘটনাটি ঘটলেও হয়ত অনেক শিশু এবং কিশোর বেঁচে যেত; কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস যখন আর মাত্র কিছু সময় পড়ে তারা মা-বাবা বা কোনো গুরুজনের কোলে চড়ে গল্প করতে করতে বাড়ির দিকে রওয়ানা হবে, তার মাত্র কিছু সময় আগে অর্থাৎ যখন শিক্ষকরা তাদের নিত্যদিনের মতো লাইনে দাঁড় করিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে বাড়ি ফেরার জন্য তৈরি করছিল, তখনই এরকম স্মরণকালের একটি অতীব দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেল।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে প্রভাব ফেলবে
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে প্রভাব ফেলবে

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে প্রভাব ফেলবে

২০২৫ সালের ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০৮টি দেশের ওপর ১১ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত পারস্পরিক শুল্ক (Reciprocal Tariff) আরোপের ঘোষণা দেন। এটি বিশ্বের সব দেশের জন্যই এক ধরনের ধাক্কা হিসেবে এসেছে তা দেশটির বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ যতই হোক না কেন কিংবা সেই দেশের অর্থনীতির আকার যত বড় বা ছোট হোক না কেন। এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৯১৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মোট রপ্তানি ছিল ৩ দশমিক ১২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আমদানি ছিল ৪ দশমিক ১১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই সেবা খাতে কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে। প্রমাণস্বরূপ ২০২৪ সালে সেবা রপ্তানি ছিল ১ দশমিক ১৫ ট্রিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ছিল শূন্য দশমিক ৮৪১ ট্রিলিয়ন ডলার। তবে যুক্তরাষ্ট্র কোথাও সেবা খাতকে উল্লেখ করেনি অথচ বিশ্বব্যাপী সেবা রপ্তানি দ্রুত বাড়ছে এবং ভবিষ্যতের বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।