গিনি-বিসাউয়ে সেনা অভ্যুত্থান, প্রেসিডেন্ট গ্রেপ্তার
পূর্ব আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউয়ে নির্বাচনের উত্তেজনার মধ্যেই ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী। দেশটির প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালোকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর এক দিন আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই শীর্ষ প্রার্থীই নিজেদের বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার আল জাজিরা জানিয়েছে, সেনা কর্মকর্তাদের একটি গ্রুপ টেলিভিশনে নিজেদের পরিচয় দিয়েছে “হাই মিলিটারি কমান্ড ফর দ্য রেস্টোরেশন অব অর্ডার” হিসেবে। তারা জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে।
সেনা অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ, নৌ ও স্থল সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে। রাতের বেলা কারফিউ জারি করা হয়েছে। বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট প্যালেস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরের কাছ থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এরপরই সেনারা ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দেন।
গিনি-বিসাউয়ের চলতি সপ্তাহের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট এমবালো ও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ফার্নান্দো দিয়াসের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যায়। ভোট শেষে উভয়ই নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন। তবে নির্বাচন কমিশন ফলাফল প্রকাশের আগেই সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।
ফরাসি গণমাধ্যম ফ্রান্স২৪কে ফোনে এমবালো জানিয়েছেন, “আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে”। তিনি বলেন, বর্তমানে তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান দপ্তরে আটক রয়েছেন।
প্রতিবেশী সেনেগাল থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক নিকোলাস হক জানিয়েছেন, প্রধান বিরোধী দল পিএআইজিসির নেতা ডোমিঙ্গোস সিমোয়েস পেরেইরাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ইন্টারনেট বন্ধের চেষ্টা করছে এবং দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
হকের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেনিস এন’কানহা, যিনি প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান ছিলেন এবং যিনি নিজেই প্রেসিডেন্ট এমবালোকে গ্রেপ্তার করেছেন।
সেনা কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, তারা গিনি-বিসাউয়ের “সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ” নিজেদের হাতে নিয়েছেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে