আইনের প্রতি সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ সমর্থন রয়েছে: প্রসিকিউটর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বলেছেন, ‘দেশের আইনের প্রতি সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ সমর্থন রয়েছে।’ রোববার ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে চানখারপুলে ছয় হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেনা আইন নিয়ে জানতে চাইলে প্রসিকিউটর বলেন, ‘সেনা সদর দপ্তরের প্রথম ও পরবর্তী দিনের সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রতীয়মান হয় যে, দেশের আইন এবং আদালতের ওপর সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ সমর্থন রয়েছে। এর প্রমাণ– নির্ধারিত তারিখের দিন তারা নিজেদের কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেছেন। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সহায়তা করায় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীকে আমরা ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
তামিম বলেন, ‘দুটো আইনই দেশের স্পেশাল ল’ (বিশেষ আইন)। কিন্তু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হলো এমন একটি আইন, যেটি সংবিধানের প্রথম সংশোধনী দিয়ে প্রটেক্টেড (সুরক্ষিত) করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, এই আইন বাংলাদেশের প্রযোজ্য সব আইনের ওপর প্রাধান্য পাবে। সংবিধানের সঙ্গেও যদি এই আইন সাংঘর্ষিক হয় কোনো ক্ষেত্রে, তাহলে এই আইনটি প্রাধান্য পাবে। এই আইন প্রাধান্য পাবে বলে ৭৩-এ-তে বলে দেওয়া আছে। অতএব এখানে সেনা আইন বা অন্য কোনো আইনে বিচারের সুযোগ নেই। ট্রাইব্যুনালের আইনেই বিচার হবে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হবে আগামী ১৩ নভেম্বর। রায়ের দিন ঠিক করাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহল থেকে মন্তব্য করা ও কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১৩ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় লকডাউন ঘোষণা এবং লোকসমাগম কেন্দ্র করে কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নেই বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী মোহাম্মদ মনোয়ার হোসাইন তামিম।
অন্যদিকে, সেনা কর্মকর্তাদের হয়ে আইনি লড়াই করতে চান না বলে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরওয়ার। রোববার ওকালতনামা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহারের আবেদনের পর তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে