তারেক-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ফের বুধবার
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি শেষ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ। বুধবার (২০ আগস্ট) আসামিপক্ষের অসমাপ্ত শুনানির দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) তৃতীয় দিনের শুনানিতে তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরের খালাস বাতিল দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর আংশিক শুনানি করেন আসামিপক্ষ। বুধবার তাদের শুনানি শেষ করার দিন ধার্য করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। তারেক রহমান ও বাবরের পক্ষে আছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
গত বছরের ১ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত মামলাটির সব আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চের এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয় ১৯ ডিসেম্বর। এরপর পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
১ জুন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দিয়ে সারসংক্ষেপ দাখিল করতে বলেন এবং শুনানির দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। ১৭ জুলাই ও ৩১ জুলাই আপিলের ওপর প্রথম দুদিনের শুনানিতে অংশ নেন রাষ্ট্রপক্ষ।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত ও দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবরের রায়ে লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয় অন্য ১১ জনকে। ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে। পাশাপাশি কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ মামলার আপিল শুনানি বিচারপতি সহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুরু হয়। পরে ওই বেঞ্চ পুর্নগঠন হলে নতুন বেঞ্চে ফের শুনানি নেয়া হয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে