আহমেদাবাদে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার ৩ কর্মকর্তাকে অপসারণ

আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার পরই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ডিজিসিএ)। উড়োজাহাজ পরিচালনা ও ক্রুদের সময়সূচি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা এয়ার ইন্ডিয়ার তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ডিভিশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন।

ডিজিসিএ জানিয়েছে, ফ্লাইট ক্রুদের রোস্টার তৈরি ও ডিউটি সময় নির্ধারণে এই কর্মকর্তারা গুরুতর অনিয়ম করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ বাস্তবায়নে দেরি হলে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এনডিটিভি’র খবরে বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত এসেছে এয়ার ইন্ডিয়ার ইন্টিগ্রেটেড অপারেশনস কন্ট্রোল সেন্টার (আইওসিসি)-এর নিরীক্ষা শেষে। ওই নিরীক্ষায় দেখা যায়, গত ১৬ ও ১৭ মে বেঙ্গালুরু থেকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে যাওয়া দুটি ফ্লাইটে সর্বোচ্চ অনুমোদিত ফ্লাইট ডিউটি সময় ১০ ঘণ্টা অতিক্রম করা হয়েছে, যা ২০১৯ সালের সিভিল অ্যাভিয়েশন বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

ডিজিসিএ জানিয়েছে, এসব ফ্লাইট কোনো জরুরি ছিল না, বরং নিয়মিত আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী ফ্লাইট ছিল। ফলে সময়সীমা লঙ্ঘনের কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ নেই। এ বিষয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার অ্যাকাউন্টেবল ম্যানেজারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ১২ জুন গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। এতে ওই বিমানের ২৪২ যাত্রীর মধ্যে একজন মাত্র বেঁচে যান। এছাড়া বিমাটি বিধ্বস্ত হয়েছিল স্থানীয় একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে। এতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৯০ জনে। দুর্ঘটনার তদন্তে একযোগে কাজ করছে ভারত, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।