এডাবের মতবিনিময় সভায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহের সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান এডাব (অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ) ঢাকা মহানগর শাখার আয়োজনে 'সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় জোরদারকরণ' শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (নিবন্ধন) আইয়ুব খান। সভাপতিত্ব করেন এডাব ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি কাজী বেবী। উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন অফিসার নাসির, জেসমিন সুলতানা পারু (প্রধান নির্বাহী, ইলমা, চট্টগ্রাম), মোঃ রবিউল ইসলাম (নির্বাহী পরিচালক, দিশা, কুষ্টিয়া) ও সৈয়দা শামীমা সুলতানা (সদস্য, এডাব কার্য নির্বাহী পরিষদ)।
এডাব পরিচালক একেএম জসীম উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মতবিনিময় সভায় প্রায় ৬০টি সংস্থার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা সমাজসেবা অধিদপ্তরকে সকল এনজিওর পরিবার হিসেবে আখ্যায়িত করে বিভিন্ন সুপারিশ উপস্থাপন করেন। আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল- সমাজসেবা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এনজিওর প্রকৃত সংজ্ঞা নির্ধারণ; একক নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা, নিবন্ধন প্রক্রিয়া, গঠনতন্ত্র সংশোধন, কমিটি অনুমোদন ও কার্য এলাকা সম্প্রসারণে হয়রানি কমানো; এমআরএ, এনজিওএবি ও অন্যান্য রেগুলেটরি অথরিটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কমিটির মেয়াদ নির্ধারণ ও অনুমোদন; নীতিমালা প্রণয়ে এডাবসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মতামত গ্রহণ; নিরাপত্তাজনিত বিষয় যাচাইয়ে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের মতামত নেয়া; ডিজিটালাইজড সেবা প্রদান।
এছাড়া, এমআরএ কর্তৃক নির্বাহী পরিচালকের চাকরির বয়সসীমা, কমিটির মেয়াদ ও স্বতন্ত্র সদস্য নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচেষ্টা উপস্থিত এনজিওরা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথি আইয়ুব খান বলেন, উন্নয়নশীল দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরে সরকারের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি নাগরিক ও এনজিওর অবদান গুরুত্বপূর্ণ। কৃষকের কাছে সঠিক সময়ে ব্যাংক নয়, বরং এনজিও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছে। সমাজসেবা অধিদপ্তর সকল এনজিওকে এক ছাতার নীচে আনার পাশাপাশি কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক করার চেষ্টা করছে। কমিটির নির্বাহী পরিচালকের চাকরির বয়সসীমা, কমিটির মেয়াদ, স্বতন্ত্র সদস্য নিয়োগ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এমআরএর আওতায় নয়।
তিনি আরও বলেন, মতবিনিময় সভায় উত্থাপিত অন্যান্য নিবন্ধনকারী অথরিটির সঙ্গে সমাজসেবার নীতিমালার সাংঘর্ষিক বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ আকারে পাঠানোর সুযোগ রয়েছে এবং এ বিষয়ে প্রযোজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
আইয়ুব খান বলেন, সবার মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের উন্নয়ন সম্ভব এবং সমৃদ্ধি আসবেই।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে