Views Bangladesh Logo

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাবেক ভিসিসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আজ ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ

ব্বিশের জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর হাসিবুর রশীদসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে এদিনের সাক্ষ্য পেশ করা হবে। অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মঞ্জুরুল বাছিদ (অব.) এবং জেলা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, আজ একজন নতুন সাক্ষীর জবানবন্দি শোনার কথা রয়েছে। তবে এর আগে ১৬ নম্বর সাক্ষী পুলিশের নায়েক আবু বকর সিদ্দিকের জেরা অসম্পূর্ণ থাকায় প্রথমে তার জেরা শেষ করা হবে। তিনি ১৩ নভেম্বর প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হত্যার আগে ও পরে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি তুলে ধরেন।

প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, সঙ্গে অন্যান্য প্রসিকিউটররা।

এর আগে ১২ নভেম্বর সাক্ষ্য দেন এসআই (সশস্ত্র) আশরাফুল ইসলাম। তিনি আদালতকে জানান, তৎকালীন রংপুর কোতোয়ালি জোনের এএসপি আরিফুজ্জামান ও তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলামের নির্দেশে চালানো গুলিতেই আবু সাঈদ নিহত হন। ১১ নভেম্বর জবানবন্দি দেন কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান আহমেদ, আর ১০ নভেম্বর সাক্ষ্য দেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতা আকিব রেজা খান।

৪ নভেম্বর, ২১ অক্টোবর ও ১৩ অক্টোবর সাক্ষী উপস্থিত না থাকায় আদালত পরপর তিন দফা সময় পিছিয়েছিল।

৬ অক্টোবর নবম দিনের সাক্ষ্যে পুলিশের দুই এসআই—রফিক ও রায়হানুল রাজ দুলাল—জবানবন্দি দেন। এরও আগে ২৮ আগস্ট আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন ও সাংবাদিক মঈনুল হকের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শুনানি।

এই মামলায় গ্রেপ্তার আছেন ৬ জন—এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। তাদের সবাই আদালতে উপস্থিত অবস্থায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

গত ২৭ আগস্ট সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে মামলার বিচারিক কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। তবে সাবেক ভিসিসহ ২৪ আসামি এখনও পলাতক। তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত চার আইনজীবী যুক্তিতর্ক পরিচালনা করছেন।

৩০ জুলাই পলাতকদের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীরা। ২৯ জুলাই তিন আসামির পক্ষে পৃথক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয় গত ২৪ জুন এবং ৩০ জুন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে আমলে নেয়। এই মামলায় মোট সাক্ষী সংখ্যা ৬২।
 

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ