গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত আরও ৯৮ ফিলিস্তিনি
গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৯৮ জনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৩৮৫ জন। ফলে যুদ্ধ শুরুর প্রায় দুবছরের কাছাকাছি সময়ে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৬২ জনে, আহত হয়েছেন অন্তত এক লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন।
এছাড়া নতুন করে চারজনের মৃত্যুতে ইসরায়েলি-সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টিতে মৃতের সংখ্যা ৪৩২ জনে দাঁড়িয়েছে, যার ১৪৬ জনই শিশু। এর মধ্যে জাতিসংঘ-সমর্থিত ক্ষুধা পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা (আইপিসি) গত মাসে উত্তর গাজাকে দুর্ভিক্ষ অঞ্চল ঘোষণা করার পর থেকেই মারা গেছেন ৩১ জন শিশুসহ ১৫৪ জন।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহতদের ৬৮ জনই গাজা সিটিতে মারা গেছেন ইসরায়েলি সেনাদের গোলা ও বোমাবর্ষণে। অন্য সাতজন ত্রাণপ্রার্থী ইসরায়েল ও মার্কিন-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান এবং আহত হন অন্তত ৮৭ জন। এ নিয়ে ২৭ মে বিতর্কিত জিএইচএফের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে নিহত সাহায্যপ্রার্থী দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫০৪ জনে, আহত হয়েছেন আরও ১৮ হাজার ৩৮১ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে , নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন, কিন্তু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবল না থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু নিউজ জানায়, বুধবারও (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে পুরো গাজাজুড়েই হামলা চালিয়ে আরও অন্তত ৭৯ জনকে হত্যা ও ২২৮ জনকে আহত করে ইসরায়েলি বাহিনী।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। গাজায় এখনো ৪৮ জন বন্দি রয়েছে। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারের কথা বলেই ইসরায়েল সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে গাজাজুড়ে।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশের চাপে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও ১৮ মার্চ থেকে ফের সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। দ্বিতীয় দফার এই অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১২ হাজার ৫১১ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৯৭৩ জন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে