গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৬, ০৯৭ ফিলিস্তিনি, দুর্ভিক্ষে ৪৫৩ জন
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর (আইডিএফ) হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪২ জন নিহত এবং অন্তত ১৯০ জন আহত হয়েছেন। ফলে যুদ্ধ শুরুর দুই বছরের কাছাকাছি সময়ে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ৯৭ জনে, আহত হয়েছেন অন্তত এক লাখ ৬৮ হাজার ৫৩৬ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে তিনজন শিশুসহ ১৩ জনের মৃত্যুতে ইসরায়েলি-সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টিতে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে মৃতের সংখ্যা ৪৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে, যাদের ১৫০ জনই শিশু। এর মধ্যে জাতিসংঘ-সমর্থিত ক্ষুধা পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা (আইপিসি) গত মাসে উত্তর গাজাকে দুর্ভিক্ষ অঞ্চল ঘোষণা করার পর থেকেই মারা গেছেন ৩৫ জন শিশুসহ ১৭৫ জন।
এ মাসের শেষ নাগাদ মধ্য ও দক্ষিণ গাজার দেইর আল-বালাহ এবং খান ইউনিসেও দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা করে সংস্থাটি বলছে, ২ মার্চ গাজার সমস্ত সীমান্ত ক্রসিং সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে পুরো অঞ্চলের ২৪ লাখ মানুষকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে কেবল গাজা সিটিতেই প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ জন। ইসরায়েল ও মার্কিন-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান অন্য পাঁচজন ত্রাণপ্রার্থী এবং আহত হন অন্তত ৪৮ জন। এ নিয়ে ২৭ মে বিতর্কিত জিএইচএফের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে নিহত সাহায্যপ্রার্থী দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫৭৬ জনে, আহত হয়েছেন আরও ১৮ হাজার ৮৬৫ জন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। গাজায় এখনো ৪৮ জন বন্দি রয়েছে। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারের কথা বলেই ইসরায়েল সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে গাজাজুড়ে।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশের চাপে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও ১৮ মার্চ থেকে ফের সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। দ্বিতীয় দফার এই অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৩ হাজার ২২৯ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ৫৬ হাজার ৪৯৫ জন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে