Views Bangladesh Logo

গাজায় নিহত আরও ৩০ ফিলিস্তিনি, পালাচ্ছেন জাবালিয়ার বাসিন্দারা

বরুদ্ধ গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর একের পর এক হামলায় আরও অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে উত্তর গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জোরপূর্বক সরিয়ে নিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হুমকিতে পালিয়ে যাচ্ছেন জাবালিয়া এলাকার বাসিন্দারা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে গাজা শহরে মারা যান ২৫ জন। বাকি ৫ জন মারা যান, উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ গাজায়। হতাহতদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) সহায়তা কেন্দ্রের সামনে ত্রাণ ও খাবারের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিরাও।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ নিয়ে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫৮ হাজার ৪১৬ জনে এবং আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৩৯ হাজার ২৭৭ জন। হতাহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। ইসরায়েলি বাহিনী এ সময় গাজার ২০ হাজারেরও বেশি শিশুকে হত্যা করেছে।

চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, গাজা শহরের পূর্বে তুফাহ এলাকায় শাবান আল-রাইয়েস স্কুলের আশেপাশে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সেখানকার ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও ১৪ জন আটকা পড়েছেন। জেইতুন পাড়ার একটি বাড়িতে অন্য একটি বিমান হামলার পর চারজনের মৃতদেহ আল-আহলি হাসপাতালে আনা হয়েছে।

লেবাননের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বেকার একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে উত্তর গাজার ১৬টি এলাকার বেসামরিক নাগরিকদের জোরপূর্বক সরিয়ে নিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হুমকিতে জাবালিয়ার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।

আল জাজিরা জানায়, সেখানকার মানুষ তাদের গাড়ি এবং গাধা ব্যবহার করে এলাকা খালি করছেন। সবাই অজানার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তবে, তারা জানেন না, কোথায় যাবেন। অন্য এলাকায় যেতে জ্বালানি না থাকায় তাদের পরিবহনেও সমস্যা হচ্ছে। পরিস্থিতি খুবই বিশৃঙ্খল ও আতঙ্কজনক।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা খান ইউনিস এলাকায় একটি সুড়ঙ্গ ধ্বংস করেছে। সেখানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের ঘুমানোর জায়গা এবং ব্যবহৃত অস্ত্রও ছিল।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ