রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার ধারাবাহিকতায় বৈশ্বিক সহায়তা জরুরি: ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষাব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে বৈশ্বিক অর্থায়ন জরুরি ভিত্তিতে বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার নিউইয়র্কের এক হোটেলে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট ও বাংলাদেশে অবস্থানরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর মানবিক কার্যক্রমে তহবিল ঘাটতি নিয়ে আলোচনা হয়।
তহবিল ঘাটতিকে একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, অনেক স্কুল ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে এবং হাজারো রোহিঙ্গা শিক্ষক বেকার হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, 'এটি একটি বড় বিপর্যয়। শিবিরে গড়ে ওঠা শিক্ষা ব্যবস্থা লক্ষাধিক শিশুর জীবনে নতুন আশা জাগিয়েছিল। আমরা উদ্বিগ্ন যে, শিশুরা যদি ক্রোধ ও ক্ষোভ নিয়ে বেড়ে ওঠে, তা যে কোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে।'
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের শিক্ষামূলক কার্যক্রম অব্যাহত ও সম্প্রসারণে ইউনিসেফকে আরও জোরালোভাবে তদবির চালানোর আহ্বান জানান তিনি।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরে বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে উদার দাতব্য ইউরোপীয় দেশগুলোও এখন মানবিক সহায়তায় অর্থায়ন কমিয়ে দিয়েছে। তিনি বাংলাদেশ সরকারকেও আহ্বান জানান, রোহিঙ্গা যুবকদের প্রশিক্ষণের সুযোগ দিতে, যাতে তারা নিজ দেশে ফিরে এসব দক্ষতা কাজে লাগাতে পারে।
ইউনিসেফের উপ-নির্বাহী পরিচালক টেড চেইবান শিবিরে শিক্ষার ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরে বলেন, 'রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।'
এ বৈঠকে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আসন্ন উচ্চপর্যায়ের রোহিঙ্গা সম্মেলন নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপি’র জ্যেষ্ঠ নেতা তাসনিম জারা এবং এসডিজি প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে