দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিশু দিবস
শিশুদের অধিকার, কল্যাণ এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ সোমবার বাংলাদেশও বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। যদিও বিশ্বব্যাপী দিবসটি ভিন্ন ভিন্ন তারিখে পালিত হয়, তবে এর মূল লক্ষ্য হলো শিশুরা যেন একটি নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে তা নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার এই দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি আয়োজন করেছে, যেখানে শিশুদের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেখা গেছে।
দিবসটি উপলক্ষে দেশের সকল শিশুদের প্রতি শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যে শিশুদেরকে সততা, মমতা এবং মুক্তচিন্তার পরিবেশে লালন করা হলে তারা দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্পকলা, খেলাধুলা ও নেতৃত্ব— সব ক্ষেত্রে বিশ্ব মঞ্চে তারা বাংলাদেশকে তুলে ধরবে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, বিশ্ব শিশু দিবস ২০২৫ প্রতিটি শিশুর নিরাপদ ও সৃজনশীল পরিবেশে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে নতুন করে অনুপ্রেরণা জোগাবে। শিশুদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণই হবে এক নতুন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর মধ্যে অন্যতম।’
তিনি চলমান ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৫’-এর সার্বিক সাফল্যও কামনা করেন।
উল্লেখ্য, ১৯২৫ সালে জেনেভায় অনুষ্ঠিত শিশু কল্যাণ সংক্রান্ত বিশ্ব সম্মেলনে প্রথম আন্তর্জাতিক শিশু দিবস ঘোষণা করা হয়। এরও আগে ১৮৫৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের চেলসিতে চার্চ অব দ্য রিডিমারের রেভারেন্ড ড. চার্লস লিওনার্ড শিশুদের জন্য বিশেষ পরিষেবার আয়োজন করেন, যা প্রথমে “রোজ ডে”, পরে “ফ্লাওয়ার সানডে” এবং অবশেষে “চিলড্রেন'স ডে” নামে পরিচিতি লাভ করে।
এরপর ১৯২০ সালে ২৩ এপ্রিলকে শিশু দিবস হিসেবে জাতীয় ছুটির দিন ঘোষণা করে তুরস্ক , যা আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯২৯ সালে স্বীকৃতি পায়। পরবর্তীতে ১৯৫৯ সালের ২০ নভেম্বর শিশু অধিকার ঘোষণা করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এবং দিবসটিকে তারা বিশ্বব্যাপী পালনের স্বীকৃতি দেয়।
অনেক দেশে এই দিনটি “শিশু সপ্তাহ” হিসেবেও পালিত হয়, যার প্রধান লক্ষ্য হলো শিশুদের অধিকার, সুরক্ষা এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বাংলাদেশেও এই দিবসটি শিশুদের কল্যাণ নিশ্চিত করার এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে চলেছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে